দাম চড়া হলেও খুশি ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা
কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ
প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৮
আপডেট:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০১

কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের পাশের মানিকতলা বাজার। মাছের জন্য বিখ্যাত মানিকতলা। প্রতিদিন সকালে বসে। আজ বৃহস্পতিবার সকালটা অবশ্য অন্য রকম ছিল বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য। আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল, বাংলাদেশের ইলিশ এসেছে। আজ বাজারের ভিড়টাও তাই অন্য দিনের চেয়ে বেশি, এমনটাই বললেন এক ক্রেতা। এই মাছ দেখতে যতটা ভিড়, ক্রেতা সেই তুলনায় বেশি নয় বলেই জানান বিক্রেতাদের একজন। উঁকি দিয়ে দাম জিজ্ঞেস করেই অনেকে হতাশ হচ্ছেন। এক মাছ বিক্রেতা বলছিলেন, ক্রেতা বেশি না হওয়ার কারণ মাছের অগ্নিমূল্য।
তবে দুর্গাপূজার আগে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও শহরতলির বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের দেখা মেলায় খুশি এখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতারা। দাম খুবই চড়া। বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ রুপিতে।
পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, বুধবার পর্যায়ক্রমে ভারতে আসা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। প্রথম দফায় আসা বরিশালের পদ্মার ইলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে কলকাতার পাতিপুকুর, শিয়ালদহ, বারাসাত ও হাওড়ার হোলসেল মাছবাজারে নিলাম হওয়ার পর সেই মাছ খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইলিশ নিলামের সঙ্গে যুক্ত এক অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার ইলিশের তুলনায় বরিশালের ইলিশের দাম বেশি হয়। প্রথম দফায় বরিশালের ইলিশই এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস বলেন, বৃহস্পতিবার কলকাতার পাইকারি বাজারে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ নিলাম হয়েছে ১ হাজার ৫০০ রুপিতে। আর ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের মাছ নিলাম হয়েছে ১ হাজার ৮০০ রুপিতে। জানা গেছে, খুচরা বাজারে এই দাম আরও ২০০ থেকে ২৫০ রুপি বেশি।
প্যাকেটে ভর্তি বাংলাদেশের ইলিশ। গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে এ ইলিশ রপ্তানি। আজ কলকাতা ও শহরতলির অনেক বাজারে দেখা গেছে এ ইলিশ
খুচরা বিক্রেতা গৌরাঙ্গ পাল বলেন, ‘হোলসেল বাজার থেকে মাছ আনার পরিবহন খরচ ছাড়াও সংরক্ষণের জন্য বরফের খরচ এবং আমাদের লাভের মার্জিন রাখার জন্যই এই অতিরিক্ত দাম নিতেই হয়।’
মানিকতলা বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ইলিশপ্রিয় বাঙালি কষ্ট করে হলেও ইলিশ কিনবে। তবে চাহিদার তুলনায় বজোরে বাংলাদেশের ইলিশের জোগান খুবই কম। তা–ও আবার একসঙ্গে মাছ আসছে না। ফলে জোগানের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
মাকসুদ এদিনও সংশয় প্রকাশ করে বলেন, নির্ধারিত তারিখ ৫ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের মঞ্জুর করা ১ হাজার ২০০ টন মাছ আমদানি করা সম্ভব হবে না। গত বছরও সময়ের স্বল্পতার জন্য পুরো পরিমাণ মাছ আমদানি করা যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: