জাতীয় প্রেস ক্লাব স্বৈরাচারের ভূমিকায় গেলে আবারও পথ হারাবে দেশ: জুলাই ঐক্য
 প্রকাশিত: 
 ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৮:১০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:২৪
                                জাতীয় প্রেস ক্লাব আবারও একদলীয় স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে জুলাই ঐক্য। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেস ক্লাব যদি একদলীয় নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তাহলে গণমাধ্যম নতুন করে আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম দেবে এবং বাংলাদেশ আবারও পথ হারাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যম এবং কিছু সাংবাদিক সংগঠন ছিল দুঃশাসনের পাহারাদার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশজুড়ে দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চলছিল, তখন জাতীয় প্রেস ক্লাবের কিছু সাংবাদিক নেতা সেই নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিক, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জয় এসেছিল বলে উল্লেখ করে জুলাই ঐক্য জানায়, এই বিপ্লবের পর মানুষ আশা করেছিল, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সংস্কার না হওয়ায় এবং আগের দমনমূলক শক্তিরাই অবস্থান ধরে রাখছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের আগস্টের পরে কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজসহ কয়েকজন সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ নেন। তখন অনেকে ধারণা করেছিল, প্রেস ক্লাব এবার গণতান্ত্রিক হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এখনো আওয়ামী ঘরানার সাংবাদিকরা সেখানে অবস্থান করছেন, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগও রয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টের বরাত দিয়ে জুলাই ঐক্য বলেছে, আগামী ১ আগস্ট ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রেস ক্লাবে যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি হচ্ছে, তাতে কেবলমাত্র একটি দলের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অথচ গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এছাড়া ৫ আগস্টের পর প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার নেতৃত্বে ‘মুজিববাদ’ এর স্লোগান দেওয়া হয় এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেয় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে জুলাই ঐক্য দাবি জানায়—জাতীয় প্রেস ক্লাব যেন দলীয় রাজনীতির ব্যানারে অনুষ্ঠান আয়োজন থেকে বিরত থাকে অথবা ১ আগস্টের অনুষ্ঠানসহ ভবিষ্যতের সব আয়োজনেই যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল অংশীজনদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে বলেছে, জাতীয় প্রেস ক্লাব যদি নতুন করে স্বৈরাচারী আচরণ করে, তাহলে তা গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম উভয়ের জন্যই অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: