আরপিও চূড়ান্তের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা জরুরি ছিল : সাইফুল হক
 প্রকাশিত: 
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৪০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৭
                                
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) চূড়ান্ত করার আগে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি ছিল। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইসি এখনো ভালো করে জানেই না, দেশে রাজনৈতিক দল কারা আর তাদের ভাবনা কী। দলের সঙ্গে আলোচনা না করে আরপিও চূড়ান্ত করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসলে আরপিও নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং সেক্ষেত্রে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে।
সংসদ নির্বাচনে জামানত বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করারও সমালোচনা করেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, এটা ঠিক হয়নি। এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়সীমাও ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে, যা দেশের বাস্তবতার বিপরীত।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, নির্বাচনে কালো টাকা, অবৈধ অর্থ ও মাফিয়াদের বন্ধ করতে না পারলে আগামী সংসদ কালো টাকার মালিকদের ক্লাবে পরিণত হবে। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এই টাকার খেলাটা বন্ধ করা দরকার। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে টাকার যে ছড়াছড়ি এটা বন্ধ করতে না পারলে গোটা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই একমাত্র দুই থেকে পাঁচ শতাংশ বা ১০ শতাংশ বিত্তবানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
সাইফুল হক নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বলেন, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে নির্বাচন কমিশনের দক্ষ জনবল ব্যবহার করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে। জনপ্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডারেরও দক্ষ অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনার মধ্যে আনতে হবে বলে জানান তিনি।
পোলিং অফিসার নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নেই, প্রশ্ন নেই, সমালোচনা নেই, তুলনামূলকভাবে নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আছে—এরকম প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া দরকার। এছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো কমিশনের এখতিয়ারে আসা দরকার বলে জানান তিনি।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো যাদের প্রতীক আছে, তাদের নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করা উচিত বলে মনে করেন সাইফুল হক। তার মতে, নিবন্ধন নিয়ে নিজস্ব প্রতীক বরাদ্দ পেলে নিজ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করা রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব। তবে তিনি একইসঙ্গে বলেন, আগামী নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে। এখনই জোট করলেও ভোট নিজ প্রতীকে এই বিধান পুরোপুরি জারি করাটা বিবেচনার কাজ হবে না। আমরা মনে করি, আগামী নির্বাচনে নিজ প্রতীকের বাইরে কেউ যদি অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করতে চান সেই সুযোগটাও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য রাখা দরকার। এর পরবর্তী নির্বাচনে নতুন বিধান রাখতে পারে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: