কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব
প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৯
আপডেট:
১৭ আগস্ট ২০২৫ ২১:৫০

পশ্চিম দিক বা কিবলার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। নামাজ আদায়ের জন্য কিবলার দিকে ফেরা জরুরি। কিবলা ছাড়া নামাজ আদায় হয় না। নামাজের সময় বান্দা বাহ্যিকভাবে কিবলার দিকে মুখ করে এবং তার অন্তর আল্লাহ অভিমুখী থাকে।
ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন আল্লাহ তায়ালা।
মুসলিম-জাতির জন্য এক কিবলা অর্থাৎ কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের বিধান দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন —
ومِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوْا وَجُوْهَكُمْ شَطْرَه
অর্থাৎ, আর তুমি যেখান থেকে বের হও না কেন, মসজিদুল হারাম (কাবা শরীফের) দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন, ওই (কাবার) দিকেই মুখ ফিরাবে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫০)
আল্লাহর নবী (সা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন, তখন (ফরজ, নফল সব নামাজেই) কাবা শরীফের দিকে মুখ ফিরাতেন।
কেউ একজন ভুলে অন্য দিকে ফিরে নামাজ আদায় করার কারণে তিনি বলেছিলেন, নামাজে দাঁড়ানোর নিয়ত করার আগে ভালোভাবে অজু করে নেবে। এরপর কিবলার দিকে মুখ করে তাকবির বলবে। (বুখারি, মুসলিম)
কিবলা নিয়ে সন্দেহ হলে করণীয়
কোনো নতুন জায়গায় গিয়ে নামাজ পড়ার জন্য প্রথমে কেবলা নির্ণয় করে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সে এলাকার মসজিদের মিম্বর, কেবলার চিহ্ন, সূর্যের গতিপথ দেখে বা কাউকে জিজ্ঞাসা করে অথবা পারিপার্শ্বিক সবকিছু বিবেচনা (তাহাররি) করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া। এভাবে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কোনো ব্যতিক্রম হিসেবে যদি ভুলও প্রমাণিত হয় তবু কেবলা নির্ণয়ের চেষ্টা করে নামাজ পড়ার কারণে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়বার সেই নামাজ পড়তে হবে না।
তবে যদি কেবলা নির্ণয়ের প্রচলিত পদ্ধতির কোনো একটাও অবলম্বন না করে অনুমানের ভিত্তিতে কেবলা ধরে এক দিকে ফিরে নামাজ পড়া হয়, আর পরে প্রমাণিত হয় তা কেবলার দিক ছিল না, তা হলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: