কোরআন সম্পর্কে যা জেনে রাখবেন
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৮
আপডেট:
১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৩

একজন মুসলিম হিসেবে আমরা কমবেশি প্রতিদিন কোরআন পড়ি। প্রতিদিন কোরআন পড়তে না পারলেও নিজের সময় ও সাধ্যমতো তিলাওয়াতের চেষ্টা করি। কোরআন তিলাওয়াত করা সম্ভব না হলে কোরআনের অনুবাদ, তাফসির শোনার চেষ্টা করি। এখানে কোরআন সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো—
কোরআন হলো আল্লাহর বাণী, যা নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে ফেরেশতা জিবরাইলের (আ.) মাধ্যমে ২৩ বছরের মধ্যে অবতীর্ণ হয়েছে।
কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত গ্রন্থ এবং সর্বশেষ নবীর মাধ্যমে প্রদত্ত হেদায়েতের শেষ বার্তা।
কোরআন অলৌকিকভাবে সংরক্ষিত। অর্থাৎ আজ আমরা যে কোরআন জানি এবং পড়ি, তা হুবহু সেই গ্রন্থ, যা নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল।
কোরআনের বৈশিষ্ট্য হলো— কোনো মানুষের পক্ষে এমনভাবে কোনো কিতাব বা হেদায়েত বাণী লেখা অসম্ভব, এতে কোনো ত্রুটি বা বিরোধ নেই, ভবিষ্যতের ঘটনার সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, মানুষের অজানা প্রাকৃতিক বিষয়ের বর্ণনা দিয়েছে এবং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—
الٓـمّٓ ۚ١ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡہِ ۚۛ ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ٢الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَیُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ
আলিফ-লাম-মীম। এটা ওই গ্রন্থ যার মধ্যে কোন সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশ নেই; ধর্ম-ভীরুদের জন্য এ গ্রন্থ হেদায়েত।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, কোরআন নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়েতস্বরূপ এবং হেদায়েতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: