বুধবার, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬শে ভাদ্র ১৪৩২


ইসলামি জীবনব্যবস্থার বিস্তার কতটা


প্রকাশিত:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৭

আপডেট:
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫৯

ছবি ‍: সংগৃহীত

ইসলাম একটি বিস্তৃত জীবনব্যবস্থা। পাশ্চাত্যের জ্ঞানতাত্ত্বিক মডেল ও সভ্যতার প্রভাব আধুনিক বিশ্বে জ্ঞান, চিন্তা এবং জীবনযাত্রার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। ঔপনিবেশিক আন্দোলন, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও বিশ্বায়নের মাধ্যমে পাশ্চাত্যের ধারণা, জীবনধারা এবং ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য চিন্তা, জ্ঞান, কাজ, জীবন ও সমাজে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

এই প্রভাবের একটি বড় দিক হলো পাশ্চাত্যের ধর্মীয় ধারণা অন্যান্য ধর্মের ওপর চাপিয়ে দেওয়া। এর ফলে ধর্মকে কেবল ব্যক্তিগত একটি অবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে এবং এর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত ভূমিকা উপেক্ষিত হয়েছে।

পাশ্চাত্যের ধর্মীয় ধারণা ও এর সীমাবদ্ধতা

পাশ্চাত্যের জ্ঞানতাত্ত্বিক মডেল ধর্মকে কেবল ব্যক্তিগত একটি বিশ্বাসগত অবস্থা বা আধ্যাত্মিক অনুভূতির মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি এমন যে আধুনিক মানুষ চাইলে কোনো ধর্মের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে, এর কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে এবং আবেগগতভাবে এর প্রতি সংযুক্ত থাকতে পারে বটে। কিন্তু এই ধর্ম তার চিন্তা, জ্ঞান, কাজ, জীবনধারা বা সাংস্কৃতিক-সভ্যতাগত কাঠামো গঠনে খুব কমই ভূমিকা রাখে।

পাশ্চাত্যের দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিকেরা ধর্মের সংজ্ঞা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিলেও, তাঁদের অধিকাংশই কেবল খ্রিষ্টধর্মের মডেলের ওপর ভিত্তি করে ধর্মকে ব্যাখ্যা করেছেন। ম্যাক্সিম রডিনসন এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলেছেন, পাশ্চাত্যের মানুষ স্বভাবতই অন্য সব ধর্মকে খ্রিষ্টধর্মের মডেলের ভিত্তিতে বিচার করে। (বুখুশ, তারিখুল আদিয়ান, পৃষ্ঠা ১৮)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top