বুট থেকে নেইমারের আয় বছরে ৩০০ কোটি
প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৩ ২২:২১
আপডেট:
৯ আগস্ট ২০২৫ ০১:৩২

চোট আর নেইমার যেন একে অপরের পরিপূরক! ফুটলের সঙ্গে এই তারকার প্রেমে যতবার বিচ্ছেদ হয়েছে তার সিংহভাগের জন্য দায়ী এই চোট। একই কারণে চলতি মৌসুমের বাকিটা সময় বেঞ্চে বসে কাটাতে হবে এই ব্রাজিলিয়ানকে।
ফুটবলের সঙ্গে তার সম্পর্কে মাস কয়েকের জন্য ভাটা পড়লেও, একটুও কমেনি তার ব্র্যান্ড ভেল্যু। এই ফরোয়ার্ড যে বুট পায়ে খেলেন, সেখান থেকে বছরে তার আয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
২০২০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি শেষ হয় নেইমারের। এরপর তিনি চুক্তি করেন জার্মান প্রতিষ্ঠান পিউমার সঙ্গে। বর্তমানে পিউমার বুট পায়ে দিয়ে বছরে নেইমার ২ কোটি ৫৯ লাখ ইউরো বা ২৯০ কোটি টাকা আয় করেন।
যা ক্রীড়া ইতিহাসে পৃষ্ঠপোষক কোম্পানির সঙ্গে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত চুক্তি। চুক্তিপত্রে আরও বেশি আয়ের সুযোগ আছে নেইমারের। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলে বছরে ৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বোনাস পাবেন তিনি।
বুটের এই চুক্তিতে নেইমারের ধারেকাছে কেউ নেই। তিন যুগ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি এনে দেওয়া লিওনেল মেসি বুটের চুক্তি থেকে বছরে পান ২ কোটি ৩ লাখ ইউরো বা ২২৬ কোটি টাকা।
পিএসজি সতীর্থ নেইমারের চেয়ে ৬৪ কোটি টাকা কম পান মেসি। তার সঙ্গে আজীবনের চুক্তি করেছে আরেক জার্মান প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। শীর্ষ ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাইকির পরেই অ্যাডিডাসের অবস্থান।
তালিকার তিনে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নাইকির সঙ্গে পর্তুগিজ মহাতারকার চুক্তিও চিরকালের। নাইকির বুট পরে খেলতে নেমে বছরে ১ কোটি ৬৯ লাখ ইউরো বা ১৮৯ কোটি টাকা পান সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেওয়া রোনালদো, যা নেইমারের চেয়ে ১০১ কোটি টাকা কম।
হালের অন্যতম সেরা কিলিয়ান এমবাপ্পের পৃষ্ঠপোষক হতে ২০১৯ সালে উঠেপড়ে লেগেছিল নাইকি ও অ্যাডিডাস। শেষ পর্যন্ত প্রথমটিকেই বেছে নেন এমবাপ্পে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিটির বুট পরায় বছরে তার অ্যাকাউন্টে জমা হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ইউরো বা ১৭৬ কোটি টাকা। তাদের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি আছে বিশ্বকাপজয়ী তারকার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: