মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫, ৭ই শ্রাবণ ১৪৩২


মাইলস্টোন ট্রাজেডি

মেয়েকে বাঁচাতে স্কুলের ভেতর ছুটে যান মা, ফিরলেন লাশ হয়ে


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৫ ১০:৫১

আপডেট:
২২ জুলাই ২০২৫ ১৭:৫১

ছবি সংগৃহীত

প্রতিদিনের মতো মেয়ের জন্য স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছিলেন রজনী। এ সময় হঠাৎ একটি বিমান এসে পড়ে সেই ভবনে। মুহূর্তেই লাগে আগুন। আগুন দেখে মেয়ে ঝুমঝুমকে বাঁচাতে স্কুলের ভেতর ছুটে যান রজনী। কিন্তু মেয়ে অন্যদের সহায়তায় বাইরে এলেও রজনী আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) সেখানে রাতে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মেহেরপুরের গাংনীর মেয়ে রজনীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে কাঁদছে এলাকাবাসী। রজনী গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বাওট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের মেয়ে। তিনি স্বামী জহিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। জহিরুলের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুরে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর মুহূর্তেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় রজনী সেখানে অবস্থান করছিলেন।

নিহত রজনী খাতুনের ভাই আশিক জানান, মঙ্গলবার ভোরে রজনীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় নেওয়া হয় এবং সেখানেই দাফন সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, দুলাভাই জহুরুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করেন। এ কারণে রজনী খাতুনকে নিয়ে উত্তরায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে ঝুমঝুম খাতুনকে আনতে গেলে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে তার বোনের মৃত্যু হয়।

ডিএম /সীমা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top