সত্যতা মেলেনি তাই দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না সেই আনিসা
প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৬:০৩
আপডেট:
১০ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৫

মায়ের অসুস্থতার কারণে দেরিতে আসায় এইচএসসি পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারেনি আনিসা নামের একজন শিক্ষার্থী। এতে প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষা মিস করেন তিনি। তবে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের অসুস্থতার ব্যাপারে জানানোর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
নেটিজেনদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন করে পরীক্ষার দাবিও উঠে। সেই দাবি মেনে আনিসাকে পরীক্ষায় বসানো হবে বলে ঘোষণাও দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
তবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে একইসঙ্গে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একটি কমিটি করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং আরেকটি কমিটি করা হয় আনিসার পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারি বাঙলা কলেজের পক্ষ থেকে। দুই পক্ষের তদন্তে ঘটনা সম্পর্কে আনিসার বর্ণনা অনুযায়ী সত্যতা মেলেনি। সেজন্য আনিসাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তবে আনিসা যদি বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ৬৬ নম্বর পায়, তাহলে দুই পত্র মিলিয়ে তাকে পাস করিয়ে দেওয়া হবে।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ওই ছাত্রীর (আনিসা) পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তার দেওয়া তথ্যগুলো যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে। সেগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে দুই পত্র মিলিয়ে ৬৬ নম্বর পেলে তার রেজাল্ট আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, মায়ের অসুস্থতা নিয়ে আনিসা যেভাবে তথ্যগুলো দিয়েছিল, সেগুলো যাচাই করেছি কিন্তু সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজামান বলেন, আনিসা আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেনি। ঢাকা বোর্ড ও বাঙলা কলেজ যে তদন্ত কমিটি করেছিল, তারা আমাদের কাছে হাসপাতালে ভর্তির স্লিপসহ কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিল। আমরা সেগুলো আনিসার কাছ থেকে নিয়ে কমিটিকে দিয়েছিলাম।
এই বিষয়ে পরীক্ষার্থী আনিসা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: