বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
দ্বিতীয় দিনে রেললাইন অবরোধ, ট্রেন চলাচল বন্ধ
প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৩
আপডেট:
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৮

হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। ওই রুটের দুটি পয়েন্টে আটকে আছে যাত্রবাহী ট্রেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জব্বারের মোড় রেলপথ অবরোধ করেন তারা।
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ এইচ এম হিমেল বলেন, গতকাল সোমবার সকালে আমরা ৬ দফার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো সাড়া নেই। তাই বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধ করেছি। প্রশাসন এসে আশ্বস্ত করলেই আমরা অবরোধ তুলে নেব।
আরেক শিক্ষার্থী ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হয়, এটা বাংলাদেশের কালচার। কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলনে বহিরাগতদের দিয়ে হামলা করানো কতটা যৌক্তিক? দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলছে, চলবেই।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ত্রিশাল ও গৌরিপুরে যাত্রবাহী দুটি ট্রেন আটকে আছে। মূলত বেলা ১২টার পর থেকে আটকে আছে ট্রেন দুটি। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে এককভাবে আমার কিছু করার নেই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না মেনে বিপথে হেঁটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল ছাড়ার নির্দেশনা না মেনে তারা আন্দোলন করছে। বিষয়টি এখন আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, জেলা প্রশাসক যা ভালো মনে করবেন তা-ই হবে।’
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এর আগে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় চার দফা দাবি জানান তারা।
দাবিগুলো হলো— একক ডিগ্রি, অর্থাৎ কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু রাখতে হবে; বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করায় সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে; বহিরাগত দ্বারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ গ্রন্থাগার ও স্থাপনা ভাংচুর এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার ঘটনায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে, যেসব শিক্ষক এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: