শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চাই : শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৪১

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৩

ছবি সংগৃহিত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, আমরা শিক্ষায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ও রূপান্তর আনতে চাই। ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের অনেক সমস্যা আছে। তবে ডিজিটাল লটারি নিয়ে অনেকেই খুশি। যদিও কিছু অভিভাবক এতে অসন্তুষ্ট।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি থাকায় ভর্তি-কোচিং বাণিজ্য, অবৈধ শিক্ষার্থী ভর্তি ও তদবির বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। আবার ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ফি কম রাখা হয়েছে। এতে ১১০ টাকা খরচ করে শিক্ষার্থীরা পাঁচটি স্কুলে আবেদন করতে পারছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি স্কুলে আমরা দেখছি আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের আবেদন কম। তাই বলা যায়, সকল শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবেন। আগে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকত। এখন শিক্ষার্থীরা তা থেকে মুক্ত হয়েছে। নতুন শিক্ষা কার্যক্রম অনুযায়ীও শিক্ষার্থীরা চাপমুক্ত থেকে শিখবে।

এবার (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে) ১ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি শূন্য আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯টি। সে হিসেবে প্রতি আসনে ভর্তি হতে লড়বে ৫.৮ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারিতে ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৮০টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৩৩টি।

এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।

সরকারি স্কুলে ৫৯ শতাংশ আসন কোটায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন ৪১ শতাংশ আসনে।

গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালা জারি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

এতে দেখা যায়, এবার প্রথমবারের মতো ২ শতাংশ সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মীদের সন্তানদের জন্য। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার কিংবা তাদের ছেলে বা মেয়ের পরিবারের সন্তানরা পাবে ৫ শতাংশ, কেচমেন্ট এরিয়ায় বসবাসরত শিক্ষার্থীরা ৪০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থী ২ শতাংশ কোটা। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সব মিলিয়ে মোট আসনের শতকরা হিসেবে ৫৯ শতাংশ আসন বিভিন্ন কোটায় সংরক্ষিত থাকছে।

অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ নভেম্বর, চলে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top