বৃহঃস্পতিবার, ৭ই আগস্ট ২০২৫, ২৩শে শ্রাবণ ১৪৩২


মায়ের গুলিতে বাবার খুন হতে দেখেছিলেন এই অভিনেত্রী


প্রকাশিত:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৯

আপডেট:
৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৪

ছবি সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকে হলিউডে তারকা হিসেবে উত্থান ঘটে শার্লিজ থেরনের। তবে জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণী আফ্রিকায়। নিজের অভিনয় প্রতিভা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পাড়ি জমান ইউরোপে। সবশেষে থিতু হন হলিউডে। ২০০৩ সালে ‘মনস্টার’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জেতেন।

শোবিজ অঙ্গনে পথ চলা শুরুর অল্প দিনের মধ্যে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা অস্কার লাভ করেন। তবে এ সফলতার আগে ঘটে যায় সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। নিজের চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখতে হয়েছিল। বিভিন্ন সময় সাক্ষাৎকারে সে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ঘটনাটি তিনি কখনোই ভুলতে পারেননি। শৈশবে একটি ঘটনা তাঁকে প্রায়ই ট্রমার মধ্যে নিয়ে যায়।

দিনটি ছিল ২১ জুন, ১৯৯১ সাল। অভিনেত্রীর বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর। থেরনের বাবা সেদিন মাতাল হয়ে বাসায় আসেন। তাঁর হাতে ছিল বন্দুক। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্ত্রী ও মেয়েকে হুমকি দিতে থাকেন। স্ত্রীকে আঘাত করেন। একসময় স্ত্রী ও মেয়েকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়েন। নিজেদের রক্ষা করতে একসময় হাতে পিস্তল তুলে নেন থেরনের মা, বাঁচার জন্য পাল্টা গুলি ছোড়েন। গুলিতে থেরনের বাবা মারা যান। আত্মরক্ষার্থে গুলি, তাই বেকসুর খালাস পেয়ে যান থেরনের মা। কিশোরী বয়সের সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে তিনি মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

৫০ পেরিয়ে আজ জীবনের ৫১তম বসন্ত স্পর্শ করলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী শার্লিজ থেরন। ১৯৭৫ সালের ৭ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেন এ তারকা।

বলে রাখা ভালো, বছর দুই আগে হলিউডে সৌন্দর্য্যের মানদণ্ড নিয়ে সমালোচনার মধ্যে অভিনেত্রী বলেছিলেন, হলিউডে পুরুষদের ক্ষেত্রে ‘এজ লাইক ফাইন ওয়াইন’ বা ‘সময়ের সাথে সাথে দুর্দান্ত হয়ে ওঠা’, কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে ‘ছেঁড়া ফুলের মতো অবস্থা’, অর্থাৎ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের আবেদনও হারিয়ে যায়- এমন তত্ত্বকে ঘৃণা করেন। সম্প্রতি তাকে দেখা গেছে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ এর সর্বশেষ চলচ্চিত্রে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top