বলিউডের অপেশাদারিত্ব নিয়ে সরব কাল্কি
প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪
আপডেট:
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫০
মা হওয়ার পর নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারের ভারসাম্যে আমূল পরিবর্তন এনেছেন বলিউড ডিভা দীপিকা পাড়ুকোন। দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন না তিনি। দীপিকার এই অনড় অবস্থানের কারণে চলতি বছরে বেশ কিছু বড় প্রজেক্ট তার হাতছাড়া হয়েছে। দীপিকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলিপাড়া যখন দুই ভাগে বিভক্ত, ঠিক তখনই তার পাশে এসে দাঁড়ালেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী কাল্কি কোয়েচলিন।
সম্প্রতি নিজের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ‘হার সং’-এর শুটিং শেষ করেছেন কাল্কি। সেই কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়েই ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কর্মপরিবেশ নিয়ে আক্ষেপ ঝরল তার কণ্ঠে। কাল্কি মনে করেন, দীপিকা পাড়ুকোন কাজের সময়ের যে দাবি তুলেছেন, তা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সৃজনশীল কাজের জন্য জরুরি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাল্কি বলেন, ‘বিদেশের ছবির শুটিংয়ের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো সেটে বাড়তি লোক থাকে না। ফলে কাজটা খুব দ্রুত, গোছানো এবং নিখুঁতভাবে শেষ হয়। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির শুটিং সেটে সবসময়ই অপ্রয়োজনীয় ভিড় লেগে থাকে। এই শৃঙ্খলাটা আমাদের ওদের থেকে শেখা উচিত।’
বলিউডের দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও অপেশাদারিত্ব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এখানে শিফট ১২ ঘণ্টার হলেও দেখা যায় সময়মতো কাজ শুরু হয় না, আবার শেষও হয় না। কাজের পরিবেশ আনন্দদায়ক হওয়া খুব জরুরি। পরিবেশ সুস্থ থাকলে কাজের মানও ভালো হয়। আমরা বর্তমানে যে বিশৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করি, তা সৃজনশীল কাজের জন্য কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়।’
উল্লেখ্য, দীপিকা পাড়ুকোন ৮ ঘণ্টার শিফটে অনড় থাকায় বলিউডের একাংশ তাকে ‘খামখেয়ালি’ তকমা দিয়েছিল। তবে কাল্কি মনে করিয়ে দিলেন, কাজের সময়ের চেয়ে কাজের মান এবং শিল্পীর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বছর শেষে কাল্কির এই সমর্থন দীপিকার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: