ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের পর ব্যাপক ড্রোন হামলা রাশিয়া-ইউক্রেনের
প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৫৮
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১৭
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর পরস্পরকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ জন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।
রোববার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, “গত রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলকে লক্ষ্য করে রেকর্ড ১৪৫টি শাহেদ ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে। এর আগে কখনও এক দফায় এত সংখ্যক ড্রোন উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটেনি।”
এদিকে সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে রেডর্ক সংখ্যক ড্রোন উৎক্ষেপণ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য ড্রোনের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গত ২ বছরে পরিচালিত ড্রোন হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা ছিল রোববারের হামলা।
ট্রাম্প এবং পুতিন পরস্পরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে রোববার জানিয়েছে রয়টার্সসহ বিশ্বের প্রায় সব প্রথম সারির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসভবন মার-আ-লাগোতে টেলিফোনে কথা হয়েছে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে।
যখন টেলিফোনে তাদের মধ্যে কথা হচ্ছে, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো রাজ্যের পপুলার ভোট এবং ইলেক্টোরাল ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেছে এবং প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ট্রাম্প বিজয়ী হচ্ছেন।
রোববার দুই নেতার ফোনালপারে খবর প্রচারিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘটেছে এই ড্রোন হামলা।
২০২২ সালে যখন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জো বাইডেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর বাইডেন প্রশাসন দ্ব্যর্থহীনভাবে ইউক্রেনের সমর্থনে দাঁড়িয়ে যায় এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে শত শত নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি ইউক্রেনে কোটি কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করতে থাকে। গত প্রায় তিন বছরে হাজার হাজার কোটি ডলার ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
বাইডেন প্রশাসনের এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিকবার তিনি বলেছেন যে ওয়াশিংটনের উচিত ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা পাঠানো করা এবং রাশিয়ার সংঙ্গে শান্তি সংলাপ শুরু করার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া।
আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর যে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে, তার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ইউক্রেনকে বাইডেন প্রশাসনের সর্বশেষ সহায়তা হিসেবে ৬০০ কোটি ডলার শিগগিরই পাঠানো হবে। ২০ জানুয়ারির পর থেকে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: