রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালককে মারধরের মামলায় আসামিদের অব্যাহতি
 প্রকাশিত: 
 ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:০৭
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০৪
                                গাড়ির হর্ন দেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির চালককে মারধরের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক মো. জহির হোসেন আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের ওয়ারী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সালোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা ও গুরুতর জখম করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদীও এ ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। বাদীর চিকিৎসা গ্রহণপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামিদের মারধরে বাদীর বাম গালে হালকা ব্যথা ও ক্ষত হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাদীর আনা অভিযোগ দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৫ ধারায় অপরাধের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এজাহারনামীয় আসামি কৌশিক সরকার সাম্য ও তদন্তে প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সাজবুল ইসলাম এবং মো. মুনসের আলী হারেজ হর্ন বাজানোকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলামকে চড় থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে সাধারণ জখম করে হুমকি প্রদান করে যা দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬/৩৪ ধারায় অপরাধ বলে প্রতীয়মান হয়। যা অধর্তব্য অপরাধ (ছোট অপরাধ) বলে প্রকাশ পায়।
২০২২ সালের ২৭ জুন মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ভুক্তভোগী চালক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়াতে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে ওয়ারী থানাধীন টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছালে আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় নজরুল পেছন থেকে গাড়ির হর্ন দিলে আসামি উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
একপর্যায়ে তার মুখে থুথু নিক্ষেপ করে এবং গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন। আসামির পরিচয় জানার চেষ্টা করলে সে উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আসামি কৌশিকসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে ভুক্তভোগী নজরুলকে গুরুতর আঘাত করার উদ্দেশ্যে মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরবর্তীতে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: