শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ


প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২৩ ২১:২৫

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৩

 ফাইল ছবি

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী,অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত ১২ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেন হাইকোর্ট। এ সময় রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান আদালত।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিব্রত প্রকাশ করেন।

বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

তারও আগে গত ৭ মার্চ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে রিটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। এই রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ও পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।

রিট দায়ের করার কারণ প্রসঙ্গে ওই সময় আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই সঠিকমতো হলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হতো না। কারণ মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪ এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

তিনি বলেন, এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ বক্তব্য সঠিক নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচন আর নিয়োগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট করেছি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

পরে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি রিট দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট আবেদনটিও প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top