বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


খুলনায় জজের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ


প্রকাশিত:
১ জুন ২০২১ ২১:৫৩

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ১০:১৬

প্রতীকী ছবি

খুলনার বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খুলনার দুদক কার্যালয়ে করা মামলায় আটক রয়েছেন দুই কর্মচারী।

সোমবার (৩১ মে) বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান। তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবেও আছেন।

আটকরা হলো- চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার/জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং মো. নাজমুল হাসান।

বিষয়টি মঙ্গলবার (০১ জুন) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান।

মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে যে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার/জারিকারক যথাক্রমে এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং মো. নাজমুল হাসান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে খুলনা বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আনুষঙ্গিক খাতে ( কোড নং- ৩২৫৫১০৫) বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায়ে এক কোটি দুই লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করেন।

উক্ত ছাড়কৃত অর্থ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামীয় খুলনার খানজাহান আলী রোডের জনতা ব্যাংক লিমিটেডে জমা হয়। পরবর্তীতে নাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের বরাবর জমা দেন।

ওই পত্রে আসামি দুজনের একই ব্যাংকের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। এর পর জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিঠি কোনোরূপ যাচাই না করে এবং হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে ভুয়াপত্রের ফটোকপির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন।

এর পর আসামিরা ব্যক্তিগত একাউন্টের চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে আত্মসাত করেন।

দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তদন্ত করা হয়েছিল। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে দুই কর্মচারী বর্তমানে কাস্টাডিতে আছে।

সোমবার খুলনার দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি মামলার বাদী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আছেন।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা খুব চতুরতার সঙ্গে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করেছে। এর পর ব্যাংকেও ভুয়া স্মারকের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিল। সর্বমোট সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকা। বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top