জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত তেওতা জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ করতে রুল
প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৬
আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৩

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতি বিজড়িত মানিকগঞ্জের তেওতা জমিদার বাড়ি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সংস্কৃতি সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী জাহিদ আহমেদ হিরো নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম (টুটুল)।
এর আগে গত ৩ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন তিনি।
রিটে সংস্কৃতি সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
সতের শতকে পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তিনি দিনাজপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী ছিলেন।
তেওতা জমিদার বাড়ি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতি বিজড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদার বাড়িতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রমীলা দেবীর রূপে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ’। কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর প্রেমের স্মৃতির সাক্ষী তেওতা জমিদার বাড়ির পাশেই ছিল প্রমীলা দেবীর বাবার বাড়ি।
ডিএম/রিয়া
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: