বৃহঃস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭শে ভাদ্র ১৪৩২


কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবককে গুলির ঘটনায় অভিযোগ গঠনের আদেশ মঙ্গলবার


প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:১৪

আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৬

ছবি : সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে রামপুরায় ছাদের কার্নিশে ঝুলে থাকা আমির হোসেনকে গুলি করাসহ দু’জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ৫ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন জানিয়েছে প্রসিকিউশন। আগামী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার প্রসিকিউশন এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেছেন। অন্যদিকে ডিফেন্সও তাদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া একজন হাজির আসামির পক্ষে তার আইনজীবী আংশিক বক্তব্য রেখেছেন। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে বাকি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আগামী মঙ্গলবার চার্জ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট এই মামলার পলাতক চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৩১ জুলাই চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রসিকিউশনের পক্ষে ফরমাল চার্জ দাখিল করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সেদিন বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি।

ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ। পরে তার ওপর ছয়টি গুলি ছোড়ে এক পুলিশ সদস্য। এতে তিন তলায় পড়ে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আমির হোসেনকে উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরবর্তীতে ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী এই যুবক।

এছাড়া একই দিন রামপুরার বনশ্রী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নাদিম ও মায়া ইসলাম নিহত হন। একইসঙ্গে মায়া ইসলামের ছয় বছর বয়সী নাতি বাসিত খান মুসা গুলিবিদ্ধ হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিলেও এখনও কথা বলতে পারছে না এই শিশু।

এ ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top