বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


জলবায়ু অভিযোজনের মতো শব্দদূষণ বন্ধে কাজ করতে হবে


প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:২২

আপডেট:
২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৫

ছবি সংগৃহিত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেছেন, শব্দদূষণের প্রত্যক্ষ শিকার সাধারণ জনগণ। এজন্য আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কারণ শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটি নিয়ে কাজ করছে বিষয়টি ইতিবাচক। জলবায়ু অভিযোজনের জন্য আমারা যেভাবে কাজ করছি ঠিক একইভাবে শব্দদূষণ নিয়ে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয়, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। শব্দ দূষণ কারা করছে তা নির্ণয় করে আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি। শব্দদূষণের করাল গ্রাস থেকে যেন জাতি মুক্ত হতে পারে সেজন্য জাতীয় সংসদে তা উত্থাপন করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করব।

স্থপতি মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, শব্দ একটি আঘাত সৃষ্ট বাস্তব ঢেউ, এই ঢেউ অসহনীয় পর্যায়ে গেলে তা শব্দদূষণে পরিণত হয়। এই ঢেউয়ের ভেতর একজন মানুষ কত সময় বা কতদিন ধরে অবস্থা করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। এটির উপর নির্ভর করে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটা বেশি। শব্দদূষণ রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, ডিটিসিএ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে, শব্দদূষণের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সমন্বয় করতে ডিটিসিএ সহযোগিতা করবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, যানবাহনের সৃষ্ট শব্দদূষণের প্রত্যক্ষ শিকার সাধারণ জনগণ। তাই নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের নিজেদেরই হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। শব্দদূষণের উৎস চিহ্নিত হরে প্রাধান্য ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বিআরটিসি, পুলিশ, রাজউক, সিটি কর্পোরেশনকে পৃথকভাবে দায়িত্ব ভাগ করে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top