রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


১৫ দিনের মধ্যে খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হবে : মেয়র আতিক


প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৩

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০৮:১১

ছবি সংগৃহিত

মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে সরাতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে খালের পাড়ে এ সীমানার বাইরেও তারা অবৈধ স্থাপনা করছে। তাদের আমি বলেছি, খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে আপনারা সরিয়ে নেবেন। নিজেরা অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা সেই স্থাপনা ভেঙে দেব। আজকেই আমরা ভেঙে দিতাম কিন্তু তারা বলেছেন, ভেতরে প্রচুর পশু রয়েছে এ পশুদের সরানো চ্যালেঞ্জিং হবে। পশুগুলোও আমাদের সম্পদ তাই এর ক্ষতি করা ঠিক হবে না। আমি তাদের ১৫ দিন সময় দিয়েছি। এর পরে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, ৩৩ নং ওয়ার্ডে প্রচুর গরুর খামারি ব্যবসা করছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো খামারগুলোর গো-বর্জ্যসহ অন্যান্য সকল বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। আপনার দেখেছেন, খালটি উদ্ধারের পর আমি গত বছর এই রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। এটি আবার গো-বর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। তারা মনে করেছেন এ রকম ভাবেই চলবে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, দয়াল হাউজিং এলাকায় কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের সকল বর্জ্য খালে ফেলে পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় একটি খামারকে মেয়রের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রামচন্দ্রপুর খাল একটি ঐতিহাসিক খাল। আমরা সেটি উদ্ধার করেছি। ময়লার কারণে খালটা আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখানে মাছের নয় মশার চাষ হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, খামারের বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে অন্য জায়গায় এই খামার স্থানান্তর করতে হবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ঢাকার আশপাশের ইটভাটা। গবেষণা অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী। এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ ও অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে। মহাসড়ক ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার পানি ছিটানো হয়। নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলম প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top