রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আত্মজীবনী অমূল্য সম্পদ : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৮

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ১০:১০

ছবি সংগৃহিত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আত্মজীবনীকে জাতির জন্য একটি ‘অমূল্য সম্পদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার মাধ্যমে জনগণ দেশের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের লেখা দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (আব্দুল হামিদ) রাষ্ট্রপতি হবেন না (ভবিষ্যতে), কারণ সংবিধান অনুযায়ী পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু, তিনি আমাদেরকে একটি অমূল্য সম্পদ দিয়েছেন (তার আত্মজীবনী ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’)। আমরা তার জীবনের সেই অংশ থেকে অনেক কিছু জানতে পারি যা তিনি আত্মজীবনীতে তুলে ধরেছেন।

একটি বই বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ শিরোনামের আত্মজীবনী এবং আরেকটি বইয়ের দুটি অংশের সংকলন ‘স্বপ্ন জয়ের ইচ্ছা’ শিরোনামে রাষ্ট্রপতির ভাষণ।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে তার বাকি জীবন, বিশেষ করে যখন তিনি অবসরে যাবেন তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে যে সময় অতিবাহিত করেছিলেন তা লিখে রাখার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, তার সহধর্মিণী রাশিদা খানম, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রবীণ সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আলোচনা পর্ব শেষে আগত বিশিষ্ট অতিথি ও সংসদ সদস্যদের সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজ ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অত্যন্ত সার্থক তার জীবন, বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে এবং দেশের গণমানুষের কল্যাণে অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন। কাজেই তিনি একটা অমূল্য সম্পদ আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন তার এই লেখনির মধ্য থেকেই সেটা উঠে এসেছে। যখন অবসরে যাবেন তখন পরবর্তী অংশটাও লিখবেন সেটাই সকলের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি থাকল মহামান্যের কাছে। রাষ্ট্রপতির পাশে থাকার জন্য ও প্রেরণা দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়েই আমাদের স্বাধীনতা। আর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামেই তার ভূমিকা রয়েছে। সেই পাকিস্তান আমল থেকেই শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের স্মৃতি নিয়েই তিনি বইটি লিখেছেন। তার জীবনের অনেক কথাই বইটিতে আছে (আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি)।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার চমৎকার হাস্যরসে ভরা জীবনী গ্রন্থটি পড়লে অনেক মজার মজার তথ্য পাওয়া যাবে। তার স্কুল জীবনের স্মৃতি সেই হাওড় অঞ্চলে বসবাস। আসলে বাংলাদেশের কাদামাটি মেখেই তিনি বড় হয়েছেন। সেখানকার শ্যামল সুন্দর পরিবেশে তিনি বেড়ে উঠেছেন। হাওড়ের কঠিন জীবনের সাথে লড়াই করেই তিনি বড় হয়েছেন। তিনি একজন সার্থক পিতা, সার্থক স্বামী। তার ব্যক্তিগত জীবন যেমন সার্থকতায় ভরপুর তেমনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অল্প বয়সে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭০ সালে এবং এরপর থেকে সাত সাতবার তিনি সংসদ সদস্য। ওই হাওড় অঞ্চলে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে কেউ কখনও পরাজিত করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচনের অনেক চেহারা আমরা দেখেছি। ভোট ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি- অনেক কিছুই আমরা দেখেছি। কিন্তু এই জায়গাটা কেউ কোনোদিন কেড়ে নিতে পারেনি। কারণ তার সঙ্গে ছিল মাটি ও মানুষের যোগাযোগ। এই যে মানুষের আস্থা অর্জন করা, বিশ্বাস অর্জন করা, মানুষের কাছে যাওয়া ও মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া এটাই তার সব থেকে বড় গুণ। তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, কিন্তু একজন সাদাসিধে স্বচ্ছ বাঙালির মতই তিনি জীবন যাপন করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই টার্ম তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন আমরা বিরোধী দলে তিনি সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংসদকে অত্যন্ত প্রাণবন্ত রাখতেন। কারণ তার একটা গুণ আছে বক্তৃতার মধ্য দিয়েও তিনি মানুষের সাথে ভালভাবে মিশে যেতে পারেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top