শিশুদের উন্নয়নে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে : ডেপুটি স্পিকার
 প্রকাশিত: 
 ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০১:৩১
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৬
                                সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে মাতৃমৃত্যুহার ও শিশুমৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। আমাদের এ ক্ষেত্রে আরও উন্নতির প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে আয়োজিত ‘শিশুবান্ধব নগর শিশুর অধিকার; বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গীকার’ বিষয়ক সংসদীয় আরবান ককাস গঠন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর অতিরঞ্জিত পরিবেশন বন্ধ করতে হবে। উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের উদ্যোগী হতে হবে ও সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে। সমস্যাগুলো নির্দিষ্টকরণের মাধ্যমে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সরকারের কাছে উপস্থাপন করা গেলে সরকার তখন অর্থায়ন করতে পারবে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বলেছেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণের সমস্ত কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব নেবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হবেন, জেলার গভর্নর জনগণের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের সহায়তা করবেন,’—এমনটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুদের পুষ্টি বিকাশে স্কুলগুলোতে ডিম ও দুধ খাওয়ানোর প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে একদিকে মেধাবী ও স্মার্ট নাগরিক তৈরি হবে, অন্যদিকে অনেক বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
শামসুল হক টুকু বলেন, সংবিধানে জাতির পিতা সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে গেছেন। আজকের এসডিজির মূলমন্ত্র কেউ পিছিয়ে থাকবে না। জেন্ডার সমতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সব বিষয় তিনি সংবিধানে উল্লেখ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেন ও ৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর শিক্ষাব্যবস্থা আবার পিছিয়ে পড়লে শেখ হাসিনা এখন আবার টেনে তুলছেন। সোনার বাংলা গড়তে হলে শতভাগ শিক্ষিত একটি জাতি গড়ে তুলতে হবে।
সভায় সংসদীয় আরবান ককাস গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান, সুবর্ণা মুস্তাফা, আরমা দত্ত, শামসুন নাহার, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও আদিবা আনজুম মিতা অংশগ্রহণ করেন।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: