কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসবে, সেটিই মানতে হবে
 প্রকাশিত: 
 ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৪
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩৩
                                প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশটি আমাদের, এ দেশকে আমরা চিনি, দেশকে আমরা বুঝি, কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসবে, সেটিই মানতে হবে? তা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকতে হবে। নিজেদের দেশ সম্পর্কে জানতে হবে। এ সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
আজ (রোববার) সকালে কালশী বালুর মাঠে মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু নতুনভাবে নির্মাণ করতে হচ্ছে। নির্মাণকালে রেল সেতু নির্মাণের কথা বলেছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংক তা শোনেনি। তারা বাখ্যা দিয়েছিল রেল সেতু লাভজনক হবে না। পরে আবার রেল সেতুর গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পেরে নির্মাণ করতে চায়। তাই আমরা করতে অনুমোদন দিয়েছি।
দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। ভূগর্ভস্থ টানেলও চালু করতে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, পাতাল রেল করার পদক্ষেপ নিয়েছি। ঢাকার চারপাশে চারটি নদীতে নাব্য ফিরিয়ে এনে নৌপথ চালুর পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত নভেম্বর মাসে একযোগে ১০০ সেতু ও ১০০ সড়ক উদ্বোধন করেছি, যা এর আগে কখনও কোনো সরকার করতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই।
ঢাকা যানজটমুক্ত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য হানিফ ফ্লাইওভার, মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার, বনানী, আহসানুল্লাহ ফ্লাইওভার চালু করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের পরিধি বড় হচ্ছে, উন্নয়নের পরিসরও বাড়ছে, আরও উন্নয়ন হবে। কিন্তু কালশী মাঠ মাঠই থাকবে। এখানে কোনো ভবন নির্মাণ হবে না। বিনোদন পার্ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই মাঠ। এখানে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা হবে। শিশুদের জন্য হবে পার্ক। যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থাও রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, খুব শিগগির কর্ণফুলির তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করব, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রেল রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ করছি। শুধু তাই নয়, ঢাকা থেকে রংপুর, সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এদিকে পদ্ম সেতু ভাঙা থেকে খুলনা, মোংলা পর্যন্ত রাস্তা ও রেললাইন যোগাযোগের কাজ এগিয়ে চলেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, উর্দুভাষী অবাঙালিরাও যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দেব। নিজেদের জন্য নয় জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতিতে এসেছি। জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করি। ঢাকা সিটিকে দুই ভাগে বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করেছি। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেব। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: