নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছে চারকোলের সংস্কার পরিষদ
 প্রকাশিত: 
 ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৬
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২০
দেশে চারকোল প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিসিএমইএ) নির্বাচন আগামী ৮ মার্চ। নির্বাচনে অংশ নিতে গঠিত ‘চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদ’ নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইশতেহার প্রকাশ করে এ পরিষদ। এ সময় চারকোল শিল্প রক্ষা ও সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, সভাপতি প্রার্থী আতিকুর রহমান, এসোসিয়েট সদস্য প্রার্থী সাহাদাত হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে আতিকুল রহমান বলেন, এখন গভীর সংকটে রয়েছে এ চারকোল শিল্প খাত। একদিকে নিয়ম নীতি না মেনে যত্রতত্র কারখানা গড়ে উঠছে, অন্যদিকে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ সেক্টরের ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করছে। চারকোল খাতকে রক্ষা করার স্বার্থে সময় এসেছে সকলে একতাবদ্ধ হওয়ার, চ্যালেঞ্জ সমূহ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করার। আগামীর চ্যালেজ মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন একটি শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ টিম যারা দক্ষতার সঙ্গে সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য কাজ করবে।
তিনি বলেন, এ উপলক্ষে ইশতেহারে চারকোল শিল্প রক্ষা ও চারকোল শিল্প সংস্কার ও উন্নয়ন দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমাদের পরিষদ নির্বাচিত হলে সকল ফ্যাক্টরির পরিবেশের ছাড়পত্র প্রাপ্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, চলমান ফ্যাক্টরি সমূহকে ফায়ার লাইসেন্স, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পাট অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে সহায়তা করা, সহজে ও সুলভে কাঁচামাল প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নতুন শিপিং লাইন খোলা এবং চারকোলকে সহজে রপ্তানি করার জন্য সকলকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি চারকোলের বিক্রয় মূল্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন এর সহায়তায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চারকোল শিল্প ১২ বছর পার করেছে। এ শিল্পকে টেকসই করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতি সহযোগিতা ও ক্রেতাদের পরামর্শে সকল ফ্যাক্টরিকে ধীরে ধীরে কমপ্লায়েন্ট ফ্যাক্টরি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। চারকোলকে ক্ষুদ্র শিল্প থেকে মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উন্নিত করা, বিসিসিএমইএ-কে এফবিসিসিআই তে অর্ন্তভুক্ত করা, চারকোল এসোসিয়েশনের একটা স্থায়ী অফিস করাসহ দক্ষ শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় শ্রমিকের ট্রেনিং ও মূল্য সংযোজিত চারকোল পণ্য উৎপাদনের জন্য ‘বিসিসিএমইএ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের প্যানেলের।
এ সময় আতিকুল রহমান জানান, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৩৫০ কোটি টাকার চারকোল রপ্তানি হয়েছে। এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ২৫ হাজার মানুষের। এ খাতের একক সংগঠন বিসিসিএমইএ’র সদস্য ৪৩ জন। দেশে প্রায় ৪৫টি চারকোল কারখানা রয়েছে। বিনিয়োগ প্রায় শত কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সহসভাপতি প্রার্থী মেহেদী হাসান জুলিয়াস ও হাবিব -এ-হাসান। সভায় চারকোল শিল্পরক্ষা ও সংস্কার পরিষদের প্রার্থী শাহরিয়ার ইবনে ইব্রাহিম, মোফাজ্জল হোসেন খোকন, মোহাম্মদ শামসুল আলম তালুকদার, আলমগীর কবির, সাহাদাত হোসেন উজ্জল, ফারহানা শারমীন কাকন, মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান, হোসাইন আহমেদ চৌধুরী, শামীম- উল -হক সহ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: