চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের জট, বহির্নোঙরে অপেক্ষায় জাহাজ
প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৫ ১১:০৩
আপডেট:
১৫ জুন ২০২৫ ২১:২৭

ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ছুটিতে সচল ছিল বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। তবে আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বেশিরভাগ শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় কনটেইনার খালাস কম হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে দিনে গড়ে ৪ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হয়। তবে ঈদের ছুটির দিনগুলোতে বন্দর থেকে গড়ে খালাস হয়েছে দিনে প্রায় দেড় হাজার করে।
ফলে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার জমতে থাকে, যা ছুটির শেষ দিনে এসে ৪২ হাজার টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) ছাড়িয়ে যায়। অথচ বন্দরের কার্যকর ধারণক্ষমতা ৪৫ হাজার টিইইউসের বেশি নয়। দীর্ঘ ছুটির কারণে পণ্য খালাসে বিলম্ব হওয়ায় বন্দরের বহির্নোঙরেও অপেক্ষমাণ রয়েছে একাধিক কনটেইনারবাহী জাহাজ। বর্তমানে বহির্নোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪৫টি বিদেশগামী জাহাজ, এর মধ্যে ১৩টি কনটেইনারবাহী।
এদিকে, রোববার (১৫ জুন) থেকে ছুটি শেষে সব সরকারি অফিস খুলে যাওয়ায় বন্দর আবারও সচল হতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিপিং এজেন্টরা আশা করছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বন্দর ইয়ার্ডে মোট ৫৩ হাজার টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার রাখার সক্ষমতা রয়েছে। তবে অপারেশনাল কার্যক্রমে সুষ্ঠুভাবে করার জন্য কিছু জায়গা খালি রাখতে হয়। মোট ৪৫ হাজার টিইইউসের বেশি বন্দরে কনটেইনার রাখার সুযোগ নেই। বন্দরে বর্তমানে প্রায় ৪২ হাজার টিইইউস কনটেইনারের জমেছে।
গত মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মসূচি পালন করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় শুল্কায়নসহ কাস্টমসের অন্যান্য কার্যক্রম। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জটের কবলে পড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। ওইসময় বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা ৪১ হাজার টিইইউস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নানা চেষ্টায় ধীরে ধীরে জট কেটে যায়। ঈদের ছুটির আগে ৪ জুন বন্দরে আমদানি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার টিইউস।
এরপর গত ৫ জুন থেকে শুরু হয় কোরবানির ঈদের টানা আট দিনের সরকারি ছুটি; সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন। ছুটির সবশেষ দিন গত ১৪ জুন ৪২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। রোববার (১৫ জুন) থেকে ঈদের ছুটি শেষে প্রত্যেক সরকারি দপ্তর খুলেছে। কর্মকর্তাদের আশা এখন সচল হবে বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় এবার ঈদের ছুটিকে সামনে রেখে আগেই বন্দরের ইয়ার্ড খালি করার চেষ্টা ছিল। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে সভা করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: