গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০২৫ ১৫:১১
আপডেট:
২০ জুলাই ২০২৫ ১৯:১১

গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে গণগ্রেপ্তারের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ঠিকই, তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্টদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা ও ঢাকা মহানগরী এবং আশপাশের এলাকার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা কোনো ধরনের গণগ্রেপ্তারের নির্দেশ দিইনি। আমরা বলেছি, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে, তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।'
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সব ডিসি, র্যাব কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীতে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা। সভায় রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং তার উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আসলেই উন্নত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'এটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমি বললে আপনারা হয়তো বিশ্বাস করবেন না, তবে আপনারা নিজেরাই মূল্যায়ন করুন বর্তমান পরিস্থিতি।'
গোপালগঞ্জে সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, 'ঘটনাটি আমি অস্বীকার করছি না। রাজনীতি করতে গেলে অনেক সময় অনেক কিছু ঘটে। আমরাও রাজনীতি করেছি, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু ঘটনা ঘটেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ঘটনার পর কি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা—আমরা তা নিশ্চিত করছি।'
আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'হরতালের নামে মাত্র দু-একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম। এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার ফল।'
গোপালগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার বিষয়ে তিনি জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে কী ঘটেছে এবং কেন মামলা করা হবে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সামনের জাতীয় নির্বাচন এসব বাহিনী দিয়ে সম্ভব কিনা—এমন প্রশ্নে জবাবে উপদেষ্টা বলেন, 'এই বাহিনী দিয়েই নির্বাচন করা সম্ভব। তারা প্রস্তুত রয়েছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো প্রতিবন্ধকতা হবে না।'
প্রেস ব্রিফিংয়ের শেষদিকে তিনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, 'আপনারা যে প্রশ্ন করতে পারছেন, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতপ্রকাশের সময় যেন কোনো অশালীন বা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গণতন্ত্রে সত্য সবসময় প্রকাশ পায়।'
ডিএম /সীমা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: