বুধবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


ইসিতে ১৮৯৩ শুনানি সম্পন্ন, শিগগির সীমানা চূড়ান্ত


প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১৮:১৫

আপডেট:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৭

ছবি সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা উপর এক হাজার ৮৯৩টি দাবি-আপত্তি শুনানি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব সংসদীয় আসনের সীমানা চুড়ান্ত করে তালিকা প্রকাশ করবে সংস্থাটি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সংসদীয় আসনের দাবি-আপত্তির শেষ দিনের শুনানি শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

ইসি সচিব বলেন, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটা কমিটি এখানে কাজ করেছিলেন। সেই কমিটির যে খসড়া, সেটা আমরা গত ৩০ জুলাই গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সর্বস্তরে জানিয়েছি। তখন বলেছিলাম যে আমরা যে সীমানাটা নির্ধারণ করেছি, সেটা খসড়া। আর যদি কারো কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে সেটা যেন ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই সময়সীমার মধ্যে আমাদের কাছে দাবি, আপত্তি, সুপারিশ, পরামর্শ ইত্যাদি থাকলে দেন।

‘সেই অনুযায়ী ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩টা জেলার ৮৪টা আসন সম্পর্কিত ১১৮৫টি আপত্তি এবং ৭০৮টি পরামর্শ বা সুপারিশ পেয়েছি। সর্বমোট আপত্তি এবং সুপারিশের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮৯৩। এগুলো ছিল ৩৩টা জেলার ৮৪টি আসন সম্পর্কিত।’, বলেন সচিব।

সচিব বলেন, দাবি-আপত্তিগুলোর ওপর উপর শুনানি করেছি। শুনানিতে আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অপর চারজন কমিশনার এবং আমরা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলাম। ২৪ আগস্ট আমরা ৬টা জেলার ১৮টি আসন নিয়ে আলোচনা ও মতামত শুনেছি। ২৫ আগস্ট ৯টা জেলার ২০টি আসন নিয়ে শুনেছি। ২৬ আগস্ট শুনেছি ৬টা জেলার ২৮টি আসন নিয়ে, আর আজ ২৭ আগস্ট আমরা শুনেছি ১২টা জেলার ১৮টি আসন নিয়ে।

ইসি সচিব বলেন, এখন এই যে মতামত পেয়েছি, সেগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। লিপিবদ্ধ করে আমরা পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ করব। এখানে বলে রাখা ভালো—পক্ষ ও বিপক্ষ উভয় দিক থেকেই মতামত এসেছে। আমরা মূলত আপত্তিটা আগে শুনেছি। আপত্তির ক্ষেত্রে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তার পক্ষে ও বিপক্ষে কথা শুনেছি, আবার আমাদের করা গ্যাজেটের পক্ষেও মতামত শুনেছি। কাজেই আমরা মোটামুটি সবাইকেই অর্থাৎ একোমোডেট করার চেষ্টা করেছি। তবে সময়ের স্বল্পতা ছিল। একই বিষয়ে একাধিক আবেদন ছিল। তাই একই বিষয়ে যেন বারবার কেউ না বলেন, সে অনুরোধ আমরা সবার কাছে রেখেছিলাম।

গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় মোট ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো-পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরিয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২,৩,৭,১০,১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১,২,৩,৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩,৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১,২,১০ ও ১১; নোয়াখালী ১,২,৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন। ইসির প্রকাশিত ওই খসড়ার তালিকার ওপর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়।

আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি; বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া; বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা; এই চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।

খসড়ায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top