হাইওয়েতে বসছে ১৪০০ ক্যামেরা, ডিজিটাল জরিমানা যাবে মালিকের মোবাইলে
প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:৫৩
আপডেট:
১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫০
হাইওয়ে পুলিশের নজরদারিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন হাইওয়েতে ১৪০০ আধুনিক ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। যার মাধ্যমে এখন থেকে শুধু গতি নয় বরং সড়কের প্রতিটি অনিয়ম ধরা পড়বে রিয়েল–টাইমে। এমনকি ওভারস্পিড থেকে শুরু করে যেকোনো সড়ক লঙ্ঘনের জরিমানা ডিজিটালি ফাইল করা হবে, আর সেই তথ্য সরাসরি গাড়ির মালিকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়নে সড়ক নিরাপত্তা আইন : বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব তথ্য জানান।
হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে ওভার স্পিডসহ যেকোনো আইন লঙ্ঘনের জরিমানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির মালিকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে। আদালতে ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল প্রমাণও সংরক্ষণ করা হবে, যা সড়ক নিরাপত্তায় নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে চলেছে।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি জানান, মূল মহাসড়কে নজরদারি বাড়াতে ঢাকা–চট্টগ্রাম বৃত্তের বাইরে পর্যন্ত বিস্তৃত একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল মনিটরিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৪০০ ক্যামেরা সক্রিয় আছে, যা তার ভাষায় “হাইওয়ের প্রায় প্রতি ইঞ্চি কভার করছে।”
ডিজিটাল জরিমানার নতুন পদ্ধতি প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি জানান, হাইওয়ে পুলিশ আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে জরিমানার পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল করার লক্ষ্য নিয়েছে। নতুন ব্যবস্থায়— ক্যামেরা ওভার স্পিড, সিগন্যাল ভায়োলেশন বা যেকোনো সড়ক অপরাধ শনাক্ত করবে। সেই তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির নম্বরের সঙ্গে যুক্ত মালিকের মোবাইলে যাবে। বার্তায় জানানো হবে কোথায়, কী কারণে এবং কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমনকি নির্দিষ্ট ব্যাংকে অনলাইনে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, এখন আর পুলিশের হাতে ধরে ফাইন দেওয়ার দিন শেষ। পুরো প্রক্রিয়াটাই ডিজিটালভাবে চলবে।
গতি নয়, সন্দেহজনক আচরণও নজরদারিতে থাকবে উল্লেখ করে তিনি জানান, নতুন ক্যামেরাগুলোর কার্যক্ষমতা শুধু যানবাহনের গতি শনাক্ত করার মধ্যে সীমিত নয়। সেগুলো মুভমেন্ট অ্যানালাইসিস, ক্রাউড ডিটেকশন ও সন্দেহজনক আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
এ সময় তিনি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও টাইম-স্ট্যাম্পড ডেটা আদালতে স্বীকৃত ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান। ডিআইজি বলেন, আদালতে এখন থেকে মানুষের মুখের কথার চেয়ে ডিজিটাল প্রমাণের শক্তি বেশি হবে। এতে মামলা জেতা কঠিন হবে না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: