শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে জানানোর চেষ্টা করছি : খাদ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৪ জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:৪৭

আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ২৩:৪২

ছবি সংগৃহিত

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে আমরা জনগণকে জানানোর চেষ্টা করছি। সুস্থ থাকতে আপাতত চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পারিবারিক নির্দেশনার ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যত টেস্টি খাবার সেটি ততই অনিরাপদ। পরিমিত খাবার খেয়েও আপনি সারাদিন কাটাতে পারবেন। আমি কিন্তু না খেয়ে থাকার কথা বলছি না৷ না খেয়ে কেউ মারা যায় না, বেশি খেয়েই মারা যায়। তাই আমাদের পরিমিত ও নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে। অনেকেই কোন খাদ্যটি নিরাপদ তা জানে না বলেই আমাদের এ প্রয়াস৷

অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যত টেস্টি খাবার ততই অনিরাপদ। পরিমিত খাবার খেয়েও সারাদিন কাটাতে পারবেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে যে খাবার সাজিয়ে দেয় সেটি অনিরাপদ বলবো না, তবে সেটি খুব স্বাস্থ্যসম্মত তাও বলবো না। সেখানে খাবারের অপচয় হয়। না খেয়ে কেউ মারা যায় না, বেশি খেয়েই মারা যায়।

বেশ কিছু উদাহরণ উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অনককে দেখেছি খেয়েই মারা গেছে৷ বিয়ে খেতে গিয়ে খাচ্ছে তো খাচ্ছেই, পরে সেই রাতেই স্ট্রোক করেছে। আরেক ছেলে হাসের মাংস খেয়ে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করেছে। এমন অনেক উদাহরণ আছে। তাই পরিমিত ও নিরাপদ খাদ্য খেতে হবে। সবাই জানে কিন্তু খেতে খেতে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেন৷

তিনি আরও বলেন, স্কুলে যদি নিরাপদ খাদ্য ও মাদক সম্পর্কে ৫ মিনিট ক্লাস নেয়, মসজিদ মাদরাসায় যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জানানো হয়, তাহলে সেটি খুবই উপকারে দেবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্দেশিকায় খাদ্য বাছাই ও ক্রয় সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে কাঁচা খাবার থেকে প্যাকেটজাত খাবার ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য, খাদ্যের মজুত, ফ্রিজে কতক্ষণ খাবার রাখা যাবে, কীভাবে রাখতে হবে সে তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

এছাড়া খাদ্য প্রস্তুত ও রান্না করার সঠিক পন্থা সম্পর্কেও বইটিতে উল্লেখ রয়েছে৷ বেসরকারি উদ্যোগে আগামী বছরের মধ্যে ১০ লাখ নির্দেশিকা বিরতরণের লক্ষ্য রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এ নির্দেশিকার পিডিএফ ফাইলের লিংক পাওয়া যাবে। আর নির্দেশিকায় দেওয়া তথ্য সংশোধন ও পরিমার্জন হতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top