শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১


বেপরোয়া ছাত্রলীগকে সামলাবে কে?


প্রকাশিত:
৭ মার্চ ২০২৩ ০৪:৩৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০১:১৬

প্রতীকী ছবি

গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের অপকর্মের বেশকিছু শিরোনাম ছিল বিভিন্ন পত্রিকার পাতাজুড়ে। একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে এ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরীর ওপর চালানো নির্যাতনের ঘটনা। ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সঙ্গীসাথিরা ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে সেফটিপিন ফুটিয়েছে। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে।

এ ধরনের জঘন্য ঘটনা কেবল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েই ঘটেনি, অন্যত্রও ঘটেছে। বলা যায়, দেশের এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ত্রাসের শিকার হয়নি শিক্ষার্থীরা। আগে ছাত্রলীগ অন্য সংগঠনকে পিটিয়ে ক্যাম্পাসছাড়া করেছে। এজন্য বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলোর কোনো অস্তিত্ব এখন আর টের পাওয়া যায় না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

স্বার্থের দ্বন্দ্বে নিজেরা নিজেরা খুনোখুনি করতেও দ্বিধা করেনি। এখন এ দ্বন্দ্বের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পকেট হাতিয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে সামান্য কারণেও অত্যাচারের খড়্গ নেমে আসে তাদের ওপর।

স্বাধীনতার মাস মার্চের প্রথম দিনেই খবরের কাগজের শিরোনাম দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ছেলে বন্ধু দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ধর্ষণের হুমকি দেওয়া অভিযুক্ত আতিফা হক শেফা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্তরা সবাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

অভিযোগে আরও যাদের নাম এসেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ভুক্তভোগী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, কিছুদিন ধরেই তিনি কয়েকজন বড় ভাইবোন দ্বারা ক্রমাগত মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। ঘটনার দিন ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী তার এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে আতিয়া হক শেফা এবং সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা নানাবিধ অশালীন কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করতে থাকে। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ফোন করে আতিকুর ও আতিফা ভুক্তভোগীকে দেখা করতে বাধ্য করেন।

ভুক্তভোগী দেখা করলে তার চরিত্র নিয়ে গালাগাল করে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেলে বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এমন খবর পড়তে হবে কখনো ভাবিনি। নারী হয়ে অন্য নারী সহশিক্ষার্থীকে এমন হুমকি দিতে পারে, আগে কখনো কল্পনাও করিনি। কিন্তু এখন এসব হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আরও জঘন্য ঘটনার জন্ম দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা এ ছাত্রসংগঠনটির নেতাকর্মীরা। হলগুলোয় ছাত্রলীগের দৌরাত্ম্য, সিট-বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও মারধরের মতো ঘটনা নিয়মিত ঘটলেও এসব রোধে প্রশাসনকে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। প্রতিটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও অধিকাংশ প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। গেল দুবছরে এমন ২৩টি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অধিকাংশ শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর দপ্তর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পর ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলেও কাউকে শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

একই চিত্র অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত এক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি ঘটনায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৭ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় হলছাড়া হয়েছেন আরও ২৬ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক ও মানসিক এসব ঘটনার মধ্যে কেবল চারটি ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ‘ডিজিটাল প্রাইভেসি রাইটস’ নিয়ে কাজ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্ট অ্যাগেইনস্ট টর্চার’ (স্যাট)। সংগঠনটির দাবি, প্রকৃতপক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি। দেখা গেছে, অধিকাংশ নির্যাতিত শিক্ষার্থী ভয়ে এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় মুখ খুলতে চান না। ফলে অনেক ঘটনাই লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।

আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন এবং অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়াচ্ছে। হলের রুম দখলকে কেন্দ্র করে গত মাসের শেষ সপ্তাহে তিন দিনের ব্যবধানে দুই দফা সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ। এ ঘটনার পর দুটি হল থেকে ৯টি রামদা, রড ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। আটক বা গ্রেফতারও হয়নি কেউ। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অন্তত পাঁচটি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসনের দুর্বলতার জন্য অপরাধীদের যেমন বিচার হয় না, তেমনই একই কারণে এদের পৃষ্ঠপোষকরাও সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

বেপরোয়া এসব নেতাকর্মীকে সামাল দেওয়ার কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না। খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীও চেষ্টা করে তাদের সামাল দিতে পারছেন বলে দাবি করতে পারছেন না। তাদের এমন চেষ্টার পেছনে কতটুকু আন্তরিকতা ছিল, মানুষের তা জানার আগ্রহ আছে। ক্ষমতাসীন দলের সূত্র থেকে জানা যায়, ফুলপরীর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায় থেকে বরাবরের মতো ছাত্রলীগকে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ছাত্রলীগের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার গভীরে গিয়ে সঠিক তথ্য উদ্ঘাটন করতে হবে।

অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অবস্থায়ই অভিযুক্তের পক্ষাবলম্বন করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে হবে। মুখে এবং কাগজে-কলমের এ নির্দেশ দিয়ে কিছু হবে বলে মনে হয় না। এমন অনেক নির্দেশ আগেও দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেছে। কিন্তু কাজ হয়েছে বলা যাবে না।

শোনা যায়, আওয়ামী লীগের যে চারজন নেতাকে ছাত্রলীগের দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাদের মাঝেমধ্যে বৈঠক হয়। সেসব বৈঠকে আদৌ কোনো ফল পাওয়া যায় বলা যাবে না। নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এদের ঘাঁটাঘাঁটি করবেন কি না, সেই প্রশ্ন তো রয়েছেই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনও ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’র মতো আচরণ করছে; যে কারণে ফুলপরীর ঘটনা শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িত ছাত্রলীগের সহসভাপতি অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই হলের প্রভোস্টকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রক্টরের উদাসীনতা, সহকারী রেজিস্ট্রার ও হাউজ টিউটরের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা এবং ব্যাপক গাফিলতি ছিল বলে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকোর্ট নির্যাতনের শিকার ফুলপরীকে নির্ভয়ে স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিতে তিন দিনের মধ্যে তাকে হলে সিট বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও কুষ্টিয়া ও পাবনার পুলিশ সুপারসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফুলপরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন।

এ কথা ঠিক, বোধগম্য কারণেই সব র‌্যাগিংয়ের খবর প্রকাশিত হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী ও তার অভিভাবকরা যতটা সম্ভব মুখ বুজে সহ্য করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ তারা ভালো করেই জানেন, শিক্ষাজীবনের শুরুতেই এ টানাপোড়েন নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাকি সময়ে তাদের অস্বস্তিতে কাটাতে হবে।

এমনকি প্রতিবাদী হলে এর পরিণতি কী হতে পারে, সেটা তাদের কাছে পরিষ্কার। বুয়েটের আবরার হত্যাকাণ্ডের পর এ বিষয়টি যে আরও স্পষ্ট হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। শিক্ষাঙ্গনে সহপাঠীর দ্বারা অপর শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে ২০২০ সালে র‌্যাগিংবিরোধী কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন আদালত। অথচ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠন করা হয়নি। এতদিনেও কমিটি গঠন না করা আদালত অবমাননার শামিল, এটি হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দায়িত্ব ছিল এ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করা।

যে যাই বলুক, ছাত্রলীগের এ দৌরাত্ম্য সামাল দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র ক্ষমতাসীন দলই রাখে। এদেশের অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করে, দলের উচ্চপর্যায়ের আশকারা কিংবা নমনীয় মনোভাব না থাকলে অনেক আগেই এসব উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীকে শায়েস্তা করা সম্ভব হতো। কিন্তু রাজনৈতিক কৌশল বলে কথা। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যখন এগিয়ে আসে, তখন দলকে অনেক কিছুরই ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। সেখানে ভুল করলে চলবে না। ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি মোকাবিলা এবং আসন্ন নির্বাচনে রাজনীতির ময়দান নিজেদের দখলে রাখার জন্য বিভিন্ন অপকর্মে বহিষ্কৃত এবং পদ ও পদবি হারানো নেতাকর্মীদের একরকম অলিখিত সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে বলেই মনে হয়।

যুবলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের যেসব নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন, তারা একে একে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়ে দলের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে ক্যাসিনো সাঈদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও তিনি তিন বছরেরও অধিক সময় বিদেশে পালিয়ে থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।

আরও অনেকেই ভোটের আগে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের এরকম মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের উড়নচণ্ডী নেতাকর্মীদের কতটুকু সামাল দেওয়া যাবে, বলা মুশকিল। কাজেই সুযোগের সদ্ব্যবহার তারা করবেন তা বলাই যায়। তবে ক্ষমতাসীন দল যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, হয়তো ভবিষ্যৎই বলতে পারবে এর ফলাফল কার পক্ষে যাবে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top