শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


লকডাউনে ঘরে বসেই যেসব আমল করতে পারেন


প্রকাশিত:
১৭ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩৭

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ০৯:৪৫

ছবি: সংগৃহীত

১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউন’। আর এ দিনই শুরু হয়েছে মহিমান্বিত রমজানুল মোবারক।

রহমত, মাগফিরাত ও মুক্তির সওগাত নিয়ে এল পবিত্র রমজান। রমজানের প্রথম দশক রহমতের সাতদিনই থাকছে লকডাউন। আল্লাহ কেমন যেন কুদরতিভাবে এক সপ্তাহ আমল করার সুযোগ করে দিলেন আমাদের।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমতের, মাঝের ১০ দিন ক্ষমার এবং শেষ ১০ দিন দোজখ থেকে মুক্তির। (বায়হাকি)।

দুনিয়ার নানা ব্যস্ততায় ইবাদতের জন্য সময় বের করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। লকডাউনে সেরকম কোনো ব্যস্ততা না থাকায় পুরো সময়টা থাকছে আমলের জন্য উন্মুক্ত।

দিবা-রাত্রির প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহতায়ালা মু’মিন বান্দাদের জন্য রহমত ও ক্ষমার দুয়ার উন্মুক্ত করে রেখেছেন। সে দুয়ারে প্রবেশ করতে হলে রমজান তো বটে, লকডাউনের এক সপ্তাহে নিজের জীবনকে আমলের বাগান হিসেবে সাজাতে হবে।

আমলটা শুরু করতে পারেন কুরআন শরীফ খতম করার মাধ্যমে। কুরআন নাজিলের মাস রমজানে কুরআন শরীফ কয়েকবার খতম দিতে পারেন। অন্তত একবার খতম দিতে পারেন।

লকডাউনের এক সপ্তাহে একবার কুরআন শরীফ খতম করা অসম্ভব কিছু নয়। যাদের সম্ভব তারা দুইবার খতম দিতে পারেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) তার উম্মতদের রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াতের দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। আবার রোজা ও কুরআন শরীফ তিলাওয়াতের মধ্যে চমৎকার মিল রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজাসমূহ এবং আল-কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজাসমূহ বলবে, হে প্রতিপালক! আমি এ ব্যক্তিকে দিনে খাবার ও অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে ফিরিয়ে রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন। আল-কুরআন বলবে, আমি এ ব্যক্তিকে রাতের নিদ্রা থেকে ফিরিয়ে রেখেছি। আপনি আমার সুপারিশ কবুল করুন। আল্লাহ তাদের সুপারিশ কবুল করবেন।’ (বায়হাকি, মুসনাদে আহমাদ) লকডাউনটা তাই একাগ্রচিত্তে কুরআন তিলাওয়াতের সুবর্ণ সুযোগ। পাশাপাশি নফল ইবাদত করা।

হাদিস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি রমজানের রাতে ফরজ ইবাদত ছাড়া সুন্নত বা নফল ইবাদত করবে, তাকে এর বিনিময়ে অন্যান্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ফরজ আদায় করবে, সে অন্যান্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান পুণ্য লাভ করবে।’ (বায়হাকি)

নফল ইবাদতের মধ্যে সালাতুল তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ ছাড়াও ফরজ নামাজের পরে অতিরিক্ত নফল নামাজ এবং বাকি সময়ে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকা। লকডাউনের এই সময়টা আমাদের জন্য হোক ইবাদতের বসন্তকাল।

লেখক: মুহাদ্দিস, মক্কীনগর মাদরাসা কেরানীগঞ্জ ঢাকা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top