হারের ষোলকলা পূর্ণ করেও আত্মবিশ্বাসী সুজন
 প্রকাশিত: 
 ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১১:১১
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৮
                                রীতিমতো রান উৎসব চলছে বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের একাদশ আসরে। এখন অবধি ঢাকা, সিলেট দুই পর্বেই হাইস্কোরিং উইকেটে আকর্ষণীয় ম্যাচ উপহার দিয়ে চারদিক থেকেই ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে বিপিএল। চার ছক্কার বন্যা যেন বয়ে যাচ্ছে শেরে বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম আর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঠে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটছে বলে গ্যালারিতে দর্শকদের বাড়তি উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
তবে শাকিব খাঁনের ঢাকা যেনো সবকিছুর ঊর্ধ্বে, জয় নয় পরাজয়ে। এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পাননি তারা। আর প্রসঙ্গ যদি হয় পরাজয়ের, খালেদ মাহমুদ সুজন তাহলে সবার সেরা। একবার হারতে শুরু করলে তাঁকে থামানোর সাধ্য বোধহয় ক্রিকেট বিধাতারও নেই। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে টানা পনেরো ম্যাচ হেরেছিলেন, টেস্টেও নয় ম্যাচ খেলে হেরেছেন সবকয়টি।
আর এবার কোচ হিসেবে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন তিনি, হারলেন টানা ১৭ ম্যাচ! কিন্তু ১৭ ম্যাচের হিসেব আসলো কিভাবে? উত্তরটা জানতে হলে ফিরে যাবে এক বছর আগের সময়টাতে। ঠিক এখনকার মতই আরেকটা অভিষিক্ত ফ্রাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকার কোচ হয়েছিলেন সুজন। দলটা প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল ঠিকই কিন্তু পরের এগারো ম্যাচের সবকয়টিতে হেরে হতবাক করে দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
তবে এ দীর্ঘ সময় ধরে জয়হীন থাকা সত্ত্বেও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি সুজন। দলের ক্রিকেটার মুনিম শাহরিয়ারের মতে, সুজন এখনও মনোবল ধরে রেখেছেন এবং দলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুনিম বলেন, ‘স্যার কখনো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন না। আমাদের জীবনে এমন সময় আসতেই পারে। আমরা ভালো খেলতে পারছি না বলেই হারছি। তবে কোচ হিসেবে তার পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি নেই। উনি আমাদের যথেষ্ট মোটিভেট করছেন।’
মুনিম আরও যোগ করেন, ‘স্যার যেসব পরিকল্পনা দেন, আমরা সেগুলো মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারছি না। মানুষের মতো তিনিও হয়তো কিছুটা হতাশ হন, কিন্তু সেটা আমাদের ওপর কখনো প্রকাশ করেন না।’
এর আগের আসরের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে শুরু করে টানা ১৭টি ম্যাচ হারলেও সুজনের কাজের প্রতি নিবেদন এবং দলকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তার নেতৃত্বে দলটি এখনও নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়। বিপিএলের চলমান আসরে ঢাকার পরবর্তী ম্যাচে কী হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: