মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২


‘ধোনির কারণে আইপিএলের নিয়ম বদল, ক্ষতি হচ্ছে ভারতের’


প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৫ ১৭:০৫

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৯:৫৩

ছবি সংগৃহীত

জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএল স্বভাতই ক্রিকেটারদের জন্য বড় মঞ্চ। তরুণ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনিভিষিক্ত কারও জন্য সেখানে সুযোগ পাওয়া আরও আকর্ষণীয়। প্রতি বছরই অনভিষিক্ত অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে ডাক পান। অর্থবিত্তের ছোঁয়ায় তাদের জীবনেও পরিবর্তন আসে। এদিকে, মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য চলমান আইপিএলে বদলে ফেলা হয়েছিল অনিভিষিক্ত ক্রিকেটারের নিয়ম। বাড়ানো হয়েছে টাকার অঙ্কও।

বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা ছিল, এবার নতুন করে একই প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। তার মতে ধোনির কারণে আইপিএলে বদলে যাওয়া এই নিয়ম ভারতীয় ক্রিকেটেরই ক্ষতি করছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘স্পোর্টস্টার’-এ লেখা এক কলামে এ নিয়ে বিসিসিআইকে নতুন করে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন গাভাস্কার।

বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী— যেসব খেলোয়াড় ভারত জাতীয় দলের হয়ে পাঁচ বছর প্রতিনিধিত্ব করেননি, তিনি ‘আনক্যাপড’ বিভাগে পড়বেন। ধোনি ভারতের হয়ে সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০১৯ সালে। সে হিসেবে তিনিও পড়ছেন অনিভিষিক্ত ক্রিকেটারের তালিকায়। তবে তার জন্য আনক্যাপড ক্রিকেটারের মূল্য বাড়িয়ে ৪ কোটি রুপি করা হয়। ওই পারিশ্রমিকে আইপিএলে দল পাওয়া আনক্যাপড ক্রিকেটারের জন্যে অনেক বড় বিষয়। আর সেটাই অল্প বয়সে ক্রিকেটারদের খ্যাতি দিচ্ছে এবং যা তাদের আরও উন্নত করার তাড়না নষ্ট করছে বলে মত গাভাস্কারের।

সাবেক এই ভারতীয় তারকা তার কলামে লিখেছেন, ‘বিপুল পারিশ্রমিক দিয়ে কেনার পর অনেক খেলোয়াড় ভালো খেলা ক্ষুধা এবং উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ না–ও হতে পারে, কারণ তারা মনে করে এটাই ভালো। এর কারণে ভারতীয় ক্রিকেটও অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। একজন খেলোয়াড় সফল হন বা না হন, তার চলে যাওয়াটা ভারতীয় ক্রিকেটের ওপর প্রভাব ফেলবে। গত বছর মেগা নিলামের আগে ধোনি আনক্যাপড খেলোয়াড় হয়েছিলেন। তাকে লিগে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আনক্যাপড প্লেয়ারদের সীমা ৪ কোটি রুপি করা হয়।’

আনক্যাপড ক্রিকেটারের দাম নিয়ে নতুন নিয়মটি ফের বিবেচনায় নিতে বিসিসিআইকে আহবান জানিয়েছেন গাভাস্কার, ‘এখন সময় ভারতীয় ক্রিকেট যাতে আর ক্ষতির মুখে না পড়ে, সেজন্য উচ্চ পারিশ্রমিকের বিষয়টি আবারও ভেবে দেখা দরকার। বড় দামের সঙ্গে উচ্চ প্রত্যাশাও আসে। অনেক তরুণ খেলোয়াড় এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে ব্যর্থ হয়। পরের বছর যখন তাদের দাম কমে যায়, তখন পরিস্থিতি ভালো হতে শুরু করে।’

সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়কের দাবি— ‘গত কয়েক বছরে এমন কোনো খেলোয়াড়ের নাম মনে পড়ছে না, যাকে বড় অঙ্কের বিনিময়ে কেনা হয়েছিল এবং দলে তার অন্তর্ভুক্তিকে ন্যায্যতা দেওয়া হয়েছিল। হয়তো আগামী কয়েক বছরে তিনি অভিজ্ঞতা লাভ করে কিছুটা উন্নতি করবেন। কিন্তু যদি তিনি একই স্থানীয় লিগে খেলে যায়, তাহলে উন্নতির সম্ভাবনা খুব বেশি থাকবে না।’

প্রসঙ্গত, ২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামে রশিখ দার সালামকে সবচেয়ে বেশি দামে কিনেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু ডানহাতি এই পেসারকে ৬ কোটি রুপিতে কিনলেও এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। যেখানে ১১.৬৬ ইকোনমিতে মাত্র ১ উইকেট শিকার করেন ২৪ বছর বয়সী এই বোলার।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top