১১ ভক্তের মৃত্যুর ৮৬ দিন পর নীরবতা ভাঙলো আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৩:২০
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫৯

১৮ বছর অপেক্ষার পর আইপিএলের সর্বশেষ আসরে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু এমন আনন্দঘন মুহূর্ত বিষাদে রূপ নিতে সময় নেয়নি। আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিনই (৪ জুন) দর্শকদের জন্য বেঙ্গালুরুতে উৎসবের আয়োজন করা হয়। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সেই উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন ভক্ত নিহত হয়েছেন। যা নিয়ে সেদিনই শোক জানিয়েছিল বেঙ্গালুরু।
ওই ঘটনায় পরবর্তী ৮৬ দিন পুরোপুরি নীরব ছিল আইপিএলের শিরোপাধারীরা। সাধারণত বড় লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সারা বছরই নানা ক্রিকেটীয় মুহূর্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকে। পুরো বছরে নিজেদের খেলাকেন্দ্রিক দুই মাসের ব্যস্ততা থাকলেও, বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের সম্পৃক্ত রাখতে তারা প্রচারণা চালায় সবসময়। যা চ্যাম্পিয়ন হওয়া বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু শোকাবহ মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে তারা তিন মাস সময় নিয়েছে।
কেবল ১১ জনের প্রাণহানিই নয়, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেদিন আরও ৫৬ জন আহত হয়েছিলেন। যা আরও বড় আঘাতের কারণ হয়ে আসে কোহলি-হ্যাজলউডদের বেঙ্গালুরুর জন্য। ঘরোয়া প্রতিযোগিতা মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফিও আয়োজনের কথা ছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। তারা সেই প্রতিযোগিতার ছাড়পত্র পায়নি। ফলে খেলা সরিয়ে দেওয়া হয় মাইসুরুর শ্রীকান্তদত্ত স্টেডিয়ামে। তবে বেঙ্গালুরুতে মেয়েদের আসন্ন বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করতে জোরপ্রচেষ্টা চালিয়েছিল কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
সেই দফায়ও মিলেছে হতাশা, পূর্বনির্ধারিত সূচিতে সেখানে ৪টি ম্যাচ থাকার কথা থাকলেও পরে সেসব ম্যাচও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই পুরো সময়জুড়ে নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে কোনো আপডেট দেয়নি বেঙ্গালুরু। আজ (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, ‘আমাদের দ্বাদশ ম্যান আর্মিদের (সমর্থক) জন্য আন্তরিক বার্তাসম্বলিত চিঠি। প্রায় তিন মাস আমরা সর্বশেষ পোস্ট করেছিলাম। এই নীরবতার মানে অনুপস্থিতি নয়, বরং শোকের প্রতিফলন।’
ভক্তদের নিয়ে একসঙ্গে পথচলার ঘোষণা দিয়ে তারা লিখেছে, ‘৪ জুনের মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে ক্লাব ও সমর্থকরা গভীরভাবে ভেঙে পড়েছিল। সেই নীরবতাই ছিল শোক প্রকাশ ও আত্মমগ্নতার মুহূর্ত। সেই সময়ে আমরা শুনেছি, শিখেছি এবং বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে বেঙ্গালুরু একটি নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলেছে– “আরসিবি কেয়ার্স”। এই প্ল্যাটফর্ম শুধু প্রতিক্রিয়ার জন্য নয়, বরং ভক্তদের সম্মান জানাতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সুস্থতার পথে এগিয়ে যেতে তৈরি করা হয়েছে।’
‘আমাদের ফিরে আসা উদযাপনের জন্য নয়, বরং পারস্পরিক যত্ন ও সহমর্মিতার জন্য। সমর্থকদের পাশে থেকে, একসঙ্গে পথ চলতে চাই। আরসিবি যত্ন নেয় এবং সর্বদা সেই পথে অটুট থাকবে। নিজেদের পরিচয়কে “কর্ণাটকের গর্ব” হিসেবে তুলে ধরবে ফ্র্যাঞ্চাইজি। খুব শিগগিরই এই উদ্যোগ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: