বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লাখো নারীর নগ্ন ছবি-পর্ন ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে!


প্রকাশিত:
২২ অক্টোবর ২০২০ ১৯:১১

আপডেট:
১৬ মে ২০২৪ ১৫:১৯

প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন রকম নগ্ন, অর্ধনগ্ন বা শারীরিক সম্পর্কের বহু ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার অধিকাংশই ভুয়া। সামাজিকমাধ্যমগুলো থেকে লাখেরও বেশি নারীর ছবি সংগ্রহ করে এসব ছবি বানানো হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে এসব ছবি থেকে নারী দেহের পোশাক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’র মাধ্যমে।

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির করা এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নগ্ন যুবতী, তরুণী বা কিশোরীদের যেসব ছবি ভাইরাল হয় বা সামাজিকমাধ্যমের পর্দায় ভেসে ওঠে তাদের অনেকেই অল্পবয়সী।

মূলত সামাজিকমাধ্যমের জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটি। এতে বলা হয়, ‘ডিপফেক বট’ নামে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের নগ্ন বানানোর কাজটি চলে। বিবস্ত্র যুবতী, তরুণী বা কিশোরীদের এ ধরনের ছবি শুধুমাত্র 'বিনোদন' হিসেবে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়।

ডিপফেক বট কী?
এটি মূলত কম্পিউটারে তৈরি এক ধরনের ছবি বা ভিডিও যা দেখলে ধরা যাবে না সেটি নকল। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায়ই সেলিব্রেটিদের নিয়ে ভুয়া পর্নোগ্রাফিক ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা হয়। সেনসিটির প্রধান নির্বাহী জর্জিও পাত্রিনি বলছেন, সেলিব্রেটিদের ছেড়ে সাধারণ মানুষের ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও কিংবা ছবি তৈরি করার ঝোঁক এখন বাড়ছে। সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে কারও একটি ছবি থাকলেই তাকে নিয়ে এ ধরনের ছবি তৈরি করা সম্ভব।

মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামের প্রাইভেট মেসেজিং চ্যানেলে একটি শক্তিশালী এআই বট (রোবট প্রোগ্রাম) ব্যবহার করা হয়। এর ব্যবহারকারীরা এই বটকে কোনো নারীর ছবি পাঠাতে পারে। এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বটটি কয়েক মিনিটের মধ্যে ছবিতে ওই নারীর দেহ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলতে পারে। এর জন্য টেলিগ্রামের গ্রাহককে কোনো অর্থও দিতে হবে না।

গত বছর এ ধরনের অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হলেও ধারণা করা হচ্ছে নতুন করে এর ক্র্যাক ভার্সন ব্যবহার হচ্ছে। ‘পি’ নামে এক ব্যবহারকারী বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে এই অ্যাপ দ্বারা ছবি পোস্ট করে থাকেন। অনুসন্ধানে তার সঙ্গে কথা বলে ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি সেনসিটি। পি তাদের বলেন, এসব আমি কেয়ার করি না। এটা হচ্ছে শুধুই বিনোদন, এবং এতে কারও কোনো ক্ষতি করা হচ্ছে না। এটা দিয়ে কেউ কাউকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারবে না। কারণ, এসব ছবির মান বাস্তবসম্মত না।

পরে বিবিসিও কয়েকজনের অনুমতি নিয়ে তাদের ছবির ওপর পরীক্ষা চালায়। পরীক্ষার কোনো ছবিই বাস্তবসম্মত দেখায়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top