সুন্দর পিচাইয়ের পদত্যাগের গুঞ্জন, কে হচ্ছেন গুগলের নতুন প্রধান?
প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫ ১২:৪৪
আপডেট:
১২ জুন ২০২৫ ১২:৪৭

প্রযুক্তি জগতের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা গুগলের ভবিষ্যৎ পথপ্রদর্শকের মধ্যে কী কী গুণ থাকা উচিত, সেই বিষয়ে আলোকপাত করলেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই। সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোর একটি প্রযুক্তি সম্মেলনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাহলে কি শিগগিরই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন সুন্দর পিচাই? এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
যদিও এই বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি তিনি। এমনকি সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর নামও বলেননি। তবে জোর দিয়ে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, গুগল পরিচালনার যে ক্ষমতা ও দায়িত্ব রয়েছে, তা পুরোপুরি অনুধাবন করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রধানকে।
ব্লুমবার্গের প্রযুক্তি সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দেন সুন্দর পিচাই। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে গুগলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও উদ্ভাবন যাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। গুগলের কাজকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও মন্তব্য করেন সুন্দর পিচাই। এমনকি তিনি এটাও জানান, ভবিষ্যতের নেতাদের সহায়তা করার জন্য তাঁদের পাশে থাকবে এক অনন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সহচর। এই বক্তব্যের মাধ্যমে গুগলের ভবিষ্যতের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গভীর সংযুক্তির দিকটিও তুলে ধরেন তিনি।
মানুষের জায়গা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এই প্রসঙ্গে পিচাইয়ের মতামত
একসময় চাকরির ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা দখল করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—এই উদ্বেগ নিয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেন পিচাই। তিনি শ্রোতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চাকরির বাজার ধ্বংস করবে না। বরং, পুনরাবৃত্তিমূলক কাজগুলো সহজ করে দিয়ে প্রকৌশলীদের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। তাঁর মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, কিন্তু তাদের স্থান দখল করবে না। একই সঙ্গে তিনি জানান, ২০২৬ সালের মধ্যে গুগলে আরও প্রকৌশলী নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
নিজের ফিরে আসা নিয়ে পিচাইয়ের ব্যাখ্যা
ইতিমধ্যেই কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে গুগল। আর সেই কারণেই গুজব ছড়িয়েছে যে গুগলের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন সুন্দর পিচাই। এই উদ্বেগের বিষয়টি সম্প্রতি ইউটিউবার লেক্স ফ্রিডম্যানের এক পডকাস্টে উঠে আসে। সেখানে পিচাই বলেন, “আলোচনা করার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। একজন প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমার মূল কৌশল হল—সংস্থা যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে। এর লক্ষ্য হল—সচেতনভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) তৈরি করা এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী পণ্য বাজারে আনা। আমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার মধ্যে অন্যতম হল—ব্রেইন এবং ডিপমাইন্ড দলকে একত্র করে ‘গুগল ডিপমাইন্ড’ গঠন করা।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “সংস্থার মধ্যে আমরা প্রকৌশল দক্ষতার ১০ শতাংশ উন্নতি লক্ষ্য করেছি। এর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ধন্যবাদ। যদিও আমাদের আরও প্রকৌশলী প্রয়োজন, কারণ সম্ভাবনার ক্ষেত্র প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: