ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করলো গুগলের এআই
 প্রকাশিত: 
 ৫ আগস্ট ২০২৫ ০৭:১৩
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:১৪
                                গুগল তাদের এআই-চালিত নিরাপত্তা গবেষক ‘বিগ স্লিপ’-এর একটি বড় অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রযুক্তি বিভিন্ন জনপ্রিয় ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে মোট ২০টি নিরাপত্তা ত্রুটি (ভালনারেবিলিটি) শনাক্ত করেছে।
গুগলের সিকিউরিটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিদার অ্যাডকিন্স বলেন, ‘গুগলের সিকিউরিটি গবেষণা দল প্রজেক্ট জিরো এবং ডিপমাইন্ড-এর যৌথ সহযোগিতায় বিগ স্লিপ’ তৈরি করা হয়েছে। এটি এই এআই টুলটির প্রথম সফল অভিযান। যেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ‘বিগ স্লিপ’ যেসব সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে বহু মানুষের ব্যবহৃত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান সফটওয়্যার প্রকল্প। যদিও গুগল এখনো নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের নাম প্রকাশ করেনি। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ওই ত্রুটিগুলোর প্রভাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্রকল্পগুলোকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় প্যাচের কাজ চলছে।
গুগল জানায়, 'বিগ স্লিপ' মূলত একটি এআই বেসড অটোমেটেড টুল। যা সোর্স কোড বিশ্লেষণ করে এবং যেখানে কোডের ত্রুটি বা নিরাপত্তা ফাঁক থাকতে পারে। তা শনাক্ত করে দেয়। এটি পুরোপুরি মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে সক্ষম। যদিও গবেষকরা এখনো এটি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— “এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি হলেও ফলাফল বেশ আশাব্যঞ্জক। ভবিষ্যতে এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি সাইবার সিকিউরিটি জগতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।”
গবেষকরা বলছেন, এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। কেননা, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা ত্রুটি খোঁজার কাজ শুধুই মানবনির্ভর ছিল। ‘বিগ স্লিপ’ প্রমাণ করলো, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সফটওয়্যার বিশ্লেষণ করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে এ ধরনের সফটওয়্যারে কোনো নিরাপত্তা ত্রুটি থাকলে সেটি বড় ধরনের সাইবার হামলার সুযোগ তৈরি করতে পারে। সেই দিক থেকে গুগলের এই উদ্যোগ সাইবার নিরাপত্তার ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
‘বিগ স্লিপ’-এর এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও উন্নত এআই-চালিত নিরাপত্তা প্রযুক্তির পথ খুলে দিলো। গুগলের দাবি অনুযায়ী, তারা এই প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করবে এবং ভবিষ্যতে এর কার্যকারিতা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: