শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


নিখোঁজ জেলের মরদেহ মিলল কুমিরের পেটে


প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৩ ১৬:১৮

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫১

প্রতিকী ছবি

নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীর মরদেহ পাওয়া গেছে কুমিরের পেটে। বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওই ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে কুমিরের মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়। বুধবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই অস্ট্রেলিয়ান মৎস্যজীবীর নাম কেভিন ডারমোডি। গত শনিবার দেশটির উত্তর কুইন্সল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নোনা পানির কুমিরের আবাসস্থল বলে পরিচিত কেনেডি’স বেন্ডে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল।

পরে ওই এলাকায় দুই দিনের অনুসন্ধানের পর পুলিশ দু’টি বড় কুমিরকে হত্যা করে এবং মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পায়। উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি, তবে পুলিশ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী ব্যক্তির সন্ধানের কাজে এটি ছিল ‘দুঃখজনক পরিণতি’।

বিবিসি বলছে, মৃত ডারমোডি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ জেলে এবং কেপ ইয়র্কের একজন সুপরিচিত সদস্য। ডারমোডিকে যেখানে শেষবার দেখা গিয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে গত সোমবার দু’টি কুমিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কুমির দু’টি লম্বায় ৪.১ মিটার (১৩.৪ ফুট) এবং ২.৮ মিটার দৈর্ঘ্যের বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। মূলত এই দু’টি সরীসৃপ প্রাণীর একটির মধ্যেই মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, উভয়ই ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।

ঘটনার সময় ডারমোডির সাথে থাকা জেলেরা আক্রমণটি দেখতে পাননি। তবে বিপদের মুখে থাকা ওই ব্যক্তির চিৎকার তারা শুনেছিলেন এবং তারপরে সজোরে পানির মধ্যে কিছু পড়তে দেখেন।

ডারমোডির বন্ধু জন পিটি কেপ ইয়র্ক উইকলিকে বলেছেন, ‘আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম... কিন্তু তার কোনও চিহ্ন ছিল না।’

অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় উত্তরে কুমিরের বিচরণ সাধারণ হলেও আক্রমণ খুবই বিরল। ১৯৮৫ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে ডারমোডির মৃত্যু কুইন্সল্যান্ডে ১৩তম মারাত্মক হামলার ঘটনা বলে রেকর্ড করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top