সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


মহাখালী বস্তিতে আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার পাবেন ৫ হাজার টাকা


প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২১ ২১:৪২

আপডেট:
৭ জুন ২০২১ ২১:৫০

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন তিন। একই সঙ্গে ত্রাণ না আসা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের খরচে খাবার ও টিন সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

অগ্নিকাণ্ডের আট ঘণ্টা পর সোমবার (০৭ জুন) দুপুর ১২টার পর মেয়র আতিক ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান। এ সময় দেরি করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কারণ জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও টেলিফোনে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল বলে জানান তিনি।

মেয়র বলেন, বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ নয়, তাদের পুনর্বাসন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কড়াইল বস্তিসহ বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ চলছে।

সোমবার (৭ জুন) ভোর ৫টার দিকে ওই বস্তিতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পরই ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল ৭টার দিকে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনায় অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগ দায়ী বলে ফায়ার সার্ভিস দাবি করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বস্তিতে অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস বা বিদুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত।’

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এই বস্তির ঘর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের সঙ্গে বস্তির বাসিন্দারাও আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছেন।’

ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে পার্শ্ববর্তী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন জলাশয় থেকে পানি এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে, বাতাসে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয়।

আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়া এক নারী বলেন, শুধু কোলের বাচ্চাটাকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম, আমার সব পুড়ে গেল। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন, এখন আর ভিডিও করে কী হবে, আপনারা কিচ্ছু করতে পারবেন না, আমার বাড়ির সব পুড়ে গেছে, আমি নিজে আজকে লাশ হয়ে যেতাম।

সাততলা বস্তিতে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার ঘর ছিল। বেশির ভাগ স্থাপনাই এখন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top