ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুরি করা ফল ফেরত দিয়ে চিঠিতে ক্ষমা চাইলেন চোর
প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৩ ২০:২৪
আপডেট:
৯ মে ২০২৫ ১০:১৪

রাতের আঁধারে সুযোগ বুঝে ফল-ফলাদি চুরি করতেন একদল চোর। পরে গাছের মালিকদের গালাগালিতে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে চিঠি দিয়ে মালিকের কাছে ক্ষমা চাইলেন চোর। সেই সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন চুরি করা ফলও।
এমনই এক আলোচিত ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে। মালিকের বাড়িতে চুরি করা ফল পৌঁছে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন গ্রামজুড়ে আলোচনা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে বাউতলা গ্রামে পেঁপে, কলা, আমসহ গাছের নানা রকমের ফল চুরির ঘটনা ঘটছে। শখের বশে বাড়ির আশপাশে লাগানো নানা প্রকারের ফল-ফলাদি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন ফল-ফলাদি চুরি হওয়ায় অনেকের মাঝে এক রকম চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।
সর্বশেষ ঐ গ্রামের আবু তাহের মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার এবং সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি থেকে কলা ও পেঁপে চুরি হয়। এ নিয়ে আসমা আক্তার কষ্টে চোরদের উদ্দেশ্যে গালাগালি করেন। এ ঘটনার দুদিন পর রাতের কোনো এক সময় তাদের বাড়ির বারান্দায় চুরি করা একটি পাকা কলার বড় কাঁদি রেখে যান চোরেরা। সঙ্গে একটি চিঠিও দিয়ে যান।
ওই চিঠিতে চোরের দল লিখেছে, 'আমরা আপনার কলা গাছ থেকে কলা চুরি করেছি। তাই আপনারা আমাদেরকে গালাগালি করেছেন। আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই আমাদের পরিমাণ মতো কলা খেয়ে বাকিটা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদেরকে মাফ করে দেন। আর যদি গালাগালি করেন তাহলে বাকি কলা নিয়ে যাব।'
এ সময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাড়িতে কোনো গাছের ফল-ফলাদি রাখা যাচ্ছে না। শখ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে কলা, পেঁপেসহ নানা প্রকারের ফলের গাছ লাগানো হয়। অনেক গাছে ফল এসেছে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, একটি চিঠি পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সন্দেহমূলক ছেলেদের হাতের লেখা পরীক্ষা করে বোঝা যাবে এ কাজগুলো কারা করছে। সবার মাঝে কৌতূহল জেগেছে গ্রামে এসব কারা করছে সে বিষয়ে জানার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু কালাম বলেন, মৌসুমী ফল মানুষ শখ করে বাড়ির আশপাশে লাগিয়ে থাকে। এসব চুরি করে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: