‘দ্বিমুখী নীতি পরিহার করুন’, জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থাকে বললেন পেজেশকিয়ান
প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০২৫ ২০:০৪
আপডেট:
১১ জুলাই ২০২৫ ০৪:৫৪

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শর্ত দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। আর সেই শর্ত হলো—‘দ্বিমুখী নীতি’ থেকে সরে আসতে হবে আইএইএ-কে।
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ইরনা’র বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনিও কস্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। ফোনালাপে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “কোনো বৈশ্বিক সংস্থা যদি নিরপেক্ষতার নীতি থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে ওই সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সংশয় আসে। আইএইএ আমাদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে তার দ্বিমুখী নীতি পরিবর্তন করবে কি না— তার ওপর এই সংস্থাটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারটি নির্ভর করছে।”
“আরেকটি কথা আমি বলব— পরবর্তীতে যদি ইরানকে লক্ষ্য করে কোনো হামলার ঘটনা ঘটে— তাহলে তেহরানের জবাব আরও কঠোর এবং নিখুঁত হবে”, ফোনালাপে ইইউ প্রেসিডেন্টকে বলেন পেজেশকিয়ান।
গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএইএ। সেখানে বলা হয়, ইরানের কাছে প্রায় সাড়ে চারশ কেজি ইউরেনিয়াম আছে এবং সেই ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত করা যায়— তাহলে অনায়াসেই এই ইউরেনিয়াম দিয়ে পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব।
আইএইএ এই প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহ পর, ১৩ জুন ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরানও। পরে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে শেষ হয় ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘাত।
ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত বাঁধার পর তেহরান অভিযোগ করেছিল — ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষন সংস্থার প্রতিবেদন নিরপেক্ষ ছিল না এবং তাদের প্রতিবেদন ইসরায়েলকে হামলার অজুহাত তুলে দিয়েছে।
২৫ জুন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের দাবি জানিয়ে একটি বিল পাশে হয় ইরানের পার্লামেন্ট মজলিশে। পেজেশকিয়ান স্বাক্ষরের পর বর্তমানে সেটি আইনে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: