সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


খুলনায় ঈদের মার্কেটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়


প্রকাশিত:
৩ মে ২০২১ ২০:১০

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২৬

ছবি: সংগৃহীত

মহামারী করোনা মানছে না মার্কেট গুলিতে বেশির ভাগ সময় এ রাত দিনে বাজার মুখো হয় সকল শ্রেনীর মানুষ। তারপর আবার ঈদ নিকটবর্তী। আর কয়েকদিন পরেই মুসলিম উম্মেহার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। একমাস সিয়াম সাধনার পর সকলে পরিবার পরিজন নিয়ে নতুন পোশাকে ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করবে।

যে কারনে সকল পেশা আর শ্রেনীর মানুষের কাছে এখন কেনাকাটা করা অত্যন্ত জরুরী বিষয়। যদিও দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ বিদ্যামান। তাই এ প্রকোপ হ্রাসের জন্য সরকার লকডাউন ঘোষনা করেছে। যদিও লকডাউন, তবুও সরকার ব্যবসায়ী আর সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য সময় নির্ধারন করে দিয়েছে।

ঈদে বাড়তি কেনাবেচার জন্য খুলনা নিউ মারর্কেট,রেল ওয়ে মারর্কেট,বজ বাজার সহ বাজারের প্রতিটি বিপনীকেন্দ্র সেজেছে বর্নীল সাজে। বিপন গুলোতে সাজানো হয়েছে সারি সারি সকল বয়সের ক্রেতাদের আধুনিক ডিজাইন আর বাহারী রঙ বেরঙের পোশাক, জুতা-সেন্ডেল আর প্রসাধনীর দোকানে শোভা পেয়েছে নামি-দাবি কোম্পানীর প্রসাধনীতে। পিছিয়ে নেই ব্যাগ, ব্যাল্ট বা ঘড়ি-চশমার বিক্রেতারাও। ক্রেতাদের বাড়তি চাপ সামলাতে মালিকেরা নিয়োগ করেছেন বাড়তি কর্মচারীদের। পোশাক ব্যবসায়ী নতুন করে মুনাফা খাটিয়েছে বাড়তি মুনাফা লাভের আশায়। তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদ মুখে ব্যবসা করবে।

সরেজমিনে, গিয়ে দেখা যায় তার কোনটা মানছে না তারা। মোর্ত্তজা ম্যানশন, আশা বস্ত্রালয়, প্রবীর ক্লথ স্টোর, শিহাব ফ্যাশন, আফসানা ম্যানশন, শীতল ফ্যাশন, আচল ফ্যাশন, অমি শপিংমল, মিশন এন্ড লিখন গার্মেন্টস্, সেইফ এন্ড সেইভ, জে.কে শপিং কর্ণার, নিউ কালেকশন, ফাস্ট চয়েজ, ফারিহা ফ্যাশন, রিয়াজ সু, সালমান সু, স¤্রাট সু, ওয়েলকাম সু, মের্সাস সংসার, সংসার সু, বাটা সু সহ সকল আধুনিক বিপনন কেন্দ্রগুলোতে সকাল ১০ টার পর হতে ক্রেতাদের সমাগম দেখা যায়। বেলা যত বাড়তে থাকে বাজারে তত ঈদ মুখো মানুষের ভীড় বাড়তে থাকে। তরুন-তরুনী, মহিলা, পুরুষ, শিশু সহ প্রায় সকল বয়সের মানুষই দিনে রাতে বাজারে এসেছে ঈদের কেনাকাটার জন্য।

ইস্পাহী কোলনী হতে আসা ক্রেতা আসমা বলেন, আর কয়েকদিন পরই ঈদ। দিন যত যাবে ততই বাজারে ভীড় বাড়বে। তাই আগে ভাগেই কেনাকাটা করতে এলাম। বছরে দুই ঈদ। করোনার কারণে আর ঈদ পড়ে থাকবেনা। আর নিজেদের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতেই হবে।

মহেশ্বরপাশার বাসিন্দা হাবিবা আক্তার বৃষ্টি এসেছেন স্ব-পরিবারে সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করার জন্য। তিনি বলেন, করোনার ভয়ে বাসা থেকে কেনাকাটার জন্য আসতে চাইনি। তবে বাচ্চাদের তো আর মন মানে না। তাই আগে ভাগেই এলাম ঈদের কেনাকাটার জন্য। ঈদমুখে আর বাজারে আসবো না। কারণ ঈদের আগে প্রচুর ভীড় বাড়বে।

আশা বস্ত্রালয়ের মালিক নির্মল সাহা বলেন, লকডাউনের আগেই ঈদের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন শাড়ি, থ্রি-পিচ উঠানো হয়েছে। তবে লকডাউন চললেও সোমবার কেনাবেচায় আমি খুব সন্তুষ্ট। আমরা ব্যবসীরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করছি।

ওয়েলকাম সু এর মালিক শরীফ মোড়ল বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে হরেক ডিজাইনের সব বয়সের জুতা-সেন্ডেল উঠিয়েছি। অনেকদিন পর একটু কেনাবেচার চাপ ছিল। ঈদের আগ মুহুর্তে এমন কেনাবেচার সাড়া মিললে, পিছনের অনেকটাই লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। আইন-শৃঙখলার বিষয়ে পুলিশ জানান, যেতেহু ঈদের সময়ে বাজারে কেনাকাটার চাপ থাকে। তাই যেন ঈদ বাজারে যেন আইন-শৃঙখলার কোন অবনতি না ঘটে তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top