আরও কমেছে বেসরকারিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি
প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৫ ১১:৪৬
আপডেট:
১৫ জুন ২০২৫ ২১:৫৩

বিনিয়োগে স্থবিরতা, তারল্য সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল শেষে এই প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঋণ প্রবৃদ্ধির এই হ্রাস চলতি অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে বছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত স্থিতিশীলতার অভাবে ব্যবসায়ীরা নতুন ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এছাড়া ডলারের সংকট, উচ্চ সুদহার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি মুদ্রানীতি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যা এক বছর আগে ছিল ১৬ লাখ ১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিনিয়োগকারীরা এখন ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক। রাজনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে ঋণের চাহিদা কমেছে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বেসরকারি খাতের বড় একটি অংশের ঋণ মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির পেছনে যায়। কিন্তু ডলারের সরবরাহে অস্থিরতার কারণে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমেছে যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামালের আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি কমেছে ৮ শতাংশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: