অর্থ উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির পর চলে যেতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই
প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৭
আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:০১

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলে যেতে হবে, এর আগে দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চান বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাল্টিপারপাস হলে ট্যাক্স রিপ্রেজেন্টিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিআরএমএস) সফটওয়্যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম সুফল কি আমরা দেখে যেতে পারব? কারণ, আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলে যেতে হবে, এর আগে কিছুটা দেখে যাব কি না। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়ই আমাকে বলেন, কিছু কিছু কন্ট্রিবিউট করে যাই আমরা। কন্ট্রিবিউটি মানে বাইরে অনেক বিরাট, এই সেই… অনেকেই চোখেও দেখে না। করলেও দেখে যে কিছুই হচ্ছে না। আজও দেখলাম কোনো একটা পত্রিকায়… নাম বলব না, সব খানে লিখেছেন হতাশা, উনি আশার কথা কিছুই দেখছেন না মনে হয়। আমি জানি না উনি দেখছেন কি না।
তিনি আরও বলেন, অতএব আমরা মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। কারণ, পরে যে সরকার আসবে সময় লাগবে, বুঝতে সময় লাগবে। আর সদিচ্ছার ব্যাপার আছে। এগুলোর মধ্যে যদি কিছুটা বাংলাদেশে আশার আলো দেখাতে পারি।
কর আইনজীবিদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, সেবা খাতে অনেক হয়রানি করা হয়। এত লোকজনকে ঘোরানো হয়। আমি নিজেও অনেক সময়… মাঝে মধ্যে বলে দেই… আরে দিয়ে দাও না। ড্রাইভারকে বলি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আমাকে বলো টলো না। এগুলো থেকে যাতে মানুষ নিস্তার পায়। একটু সেবা করেন। মানুষ চায় সেবা। ভালো সেবার ক্ষেত্রে কেউ সেবার মূল্য দিতে কৃপণতা করে না।
টিআরএমএস পুরো প্রক্রিয়া দেশে হওয়ায় সবাইকে সাধুবাদ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব কাজে বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার অভ্যাসটা বেশি হয়ে গেছে। বাইরে থেকে যারা আসে তারা আবার তাদের দেশের সরঞ্জাম বিক্রির চেষ্টা করে।
এ ধরনের কার্যক্রম সবার জন্য মঙ্গলজনক জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে বা কোম্পানি পর্যায়ে ছাড়াও যারা কর সংগ্রহ করবে তাদের জন্য সুবিধা। সংগ্রহ করতে গেলে কত রকমের কাগজপত্রে লিখতে হয়। পরে কিন্তু অনেক থ্যাংকস লেস হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বছর থেকে কর্পোরেট কর দাখিল পুরোপুরি অনলাইনে বাধ্যতামূলক করা হবে। চলতি বছরই তৈরি করা হবে কর অ্যাপস। কর আদায়ের প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করা গেলে অডিট সিলেকশন ও অডিট প্রক্রিয়া অটোমেটেড করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এম নাসিমূল হাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: