শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ডজনে বৃদ্ধি ২৫-৩০ টাকা

আমিষের উৎস ডিম আবারও নাগালের বাইরে


প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:০৮

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৫

 ছবি : সংগৃহীত

আমিষের প্রধান উৎস ডিম। ফের এর দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম মানভেদে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে করে প্রতি ডিমে দাম বেড়েছে ২ থেকে আড়াই টাকা। ফলে বাজারে আবার অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।

ডিমের পাশাপাশি দাম বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার ও দেশী মুরগির। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫, পাকিস্তানী লাল লেয়ার ৩২০-৩৩০ এবং কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে।

এ ছাড়া দেশী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ টাকা পর্যন্ত। ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানি করা যায় কি না সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে সরকার। সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ডিম আমদানি করা হতে পারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

এদিকে, ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। মাছ-মাংসের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ এমনকি মধ্যবিত্তরাও পাতে ডিম রাখছেন। এমন অনেক পরিবার আছে যাদের ডিম ছাড়া চলেই না। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সকলের পছন্দ এই ডিম। সেই ডিম এখন বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেশি, অন্যদিকে পাইকারি বেপারিরা দাম বাড়ার জন্য খামারিদের দায়ী করছেন। তবে সম্প্রতি ডিম নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ওই সময় ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দেশের একটি শীর্ষ কর্পোরেট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়।

তবে মামলার ভয়ে ভীতু নয় শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র। এ কারণে ফের ডিম নিয়ে বাজার গরম করার অপকৌশল করছে এ শিল্পের অসাধু ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক ডজন ডিম কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে গেলে ভারত থেকে আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই সময় তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে ডিম আমদানি করা হবে। টিপু মুনশির ওই ঘোষণার পরই কমতে শুরু করে ডিমের দাম। কিন্তু এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দাম কমাতে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ডিমের দামের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আমদানিতে যেতে হবে। এদিকে, খামার থেকে বাজারে আসতেই ডিমের দামে আকাশ-পাতাল ফারাক। সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। কারণ হিসেবে সরবরাহ সঙ্কট দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। এদিকে খাদ্যের দাম বাড়ার দাবি খামারিদের।

তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে পোল্ট্রি ফিডের দাম খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ৫ দিন আগেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিম ১১০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হলেও এখন পাইকারিতেই এ দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় কিনতে হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়। এতে করে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিক্রেতাদের মুখে সরবরাহ সঙ্কটসহ নানা অজুহাত। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম, খাদ্যের দাম বেড়েছে। এর ফলে ডিমের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে গেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top