বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


ইউরিক অ্যাসিড সমস্যায় নিষিদ্ধ যেসব খাবার


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৫:০১

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২২

 ছবি : সংগৃহীত

অনেকেই আজকাল ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন ৷ শরীরে অত্যধিক পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে হাইপারউরিসেমিয়া নামক একটি রোগ হতে পারে।

এই হাইপারউরিসেমিয়া কারণে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়, তার মধ্যে একটি হল গেঁটেবাত৷ এটি বাতের একটি ধরণ, যা খুবই কষ্টকর ৷ এছাড়া ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলি কিডনিতে একত্রিত হলে কিডনিতে পাথর বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম ধাপ হল খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সতর্ক। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে উপস্থিত পিউরিন, কিছু খাবারেও পাওয়া যেতে পারে। তাই, পিউরিনের কম ব্যবহার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। আরেকটি খাদ্য উপাদান যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে তা হল ফ্রুক্টোজ। এটি একটি প্রাকৃতিক চিনি যা বিভিন্ন ফল ও সবজিতে পাওয়া যায়। কিছু খাবারে ফ্রুক্টোজের উপস্থিতি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ দেয়।

 কিছু খাবার আছে যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন-

* গেঁটে বাত থাকলে বেশ কয়েক প্রকার ডাল ও বিনস খাবেন না। যেমন- দেশি ছোলা, কুলথী বা হর্স গ্রাম, রাজমা, কাবুলি ছোলা ইত্যাদি নিজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। এই খাদ্যদ্রব্যগুলো শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

* যারা হাই ইউরিক এসিডে ভুগছেন তারা রেড মিট এড়িয়ে চলুন।

* দই, ভিনেগার, ঘোল, মদ্যপানও এড়িয়ে চলুন। দইয়ে উপস্থিত ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই দই বা দইজাতীয় কোনো খাবার না-খাওয়াই ভালো।

* মিষ্টি খাবারও বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে। সেইসঙ্গে সব ধরনের কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোমল পানীয়তে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ পিউরিনের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। সেইসঙ্গে মিষ্টি খাবার ওজন বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।

* সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে শেলফিশ যেমন-চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, ঝিনুক, অ্যাঙ্কোভিস এবং সার্ডিন মাছ এড়িয়ে চলুন।

* ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই খাবার-

চেরি: চেরি একটি সুস্বাদু ফল, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, চেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

কফি: আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন অনুসারে, কফি পান করলে সিরাম ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব হ্রাস হয়। কফি ইনসুলিন প্রতিরোধকে প্রভাবিত করে গেঁটেবাতের ঝুঁকি কমায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top