কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা ‘লোক দেখানো’
প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২৫ ১২:৫০
আপডেট:
২৪ জুন ২০২৫ ১৫:৪১

অবশেষে ১২ দিন পাল্টাপাল্টি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এই হামলা ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠে। ইরান যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দেয়। সর্বশেষ ইরান কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। কাতার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বলেছে, তারা ইরানের হামলা প্রতিহত করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর আগে সতর্ক করেছিল ইরান। এ নিয়ে ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, তেহরান কেন আমেরিকাকে আগে থেকেই সর্তক বার্তা দিয়েছিল। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্টেফান ফ্রুহলিং বিবিসিকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরানের পাল্টা হামলার উদ্দেশ্য ছিল মূলত “প্রতীকী”।
তিনি বলেন, এই সতর্কতার মাধ্যমে ইরান বোঝাতে চেয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বড় সংঘাতে জড়াতে চায় না। ফ্রুহলিংয়ের মতে, ইরানের পক্ষ থেকে সময় ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে আগাম জানানো হয়েছে যাতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারে।
তিনি যোগ করেন, এই সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারকে এক ধরনের বার্তা যে ইরান সংঘাত সীমিত রাখতে চায় শুধু ইসরায়েলের সঙ্গেই। কারণ, সংঘাত বাড়লে তারা সামরিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে।
ফ্রুহলিং বলেন, এর আগেও ইরান এমন ‘লোক দেখানো’ হামলা চালিয়েছিল, যেমনটা হয়েছিল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: