তেহরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছে : ইরান
প্রকাশিত:
২৯ জুন ২০২৫ ১৩:৪৫
আপডেট:
২৯ জুন ২০২৫ ১৭:২৮

ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আগে গত ২৩ জুন ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছিল।
হামলায় নিহতদের মধ্যে কারাগারের প্রশাসনিক কর্মীদের পাশাপাশি আটককৃত বন্দি এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু তরুণও ছিলেন। ইরানের বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে রোববার (২৯ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত এভিন কারাগারে গত ২৩ জুন ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর।
রোববার ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মিজানে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন কারাগারের প্রশাসনিক কর্মীরা, সেনাবাহিনীতে কর্মরত কিছু তরুণ, আটককৃত বন্দিরা, বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে আসা তাদের পরিবারের সদস্য এবং কারাগারের আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ।”
এই হামলা এমন এক সময় হয়েছিল যখন ইসরায়েল-ইরান ১২ দিনের সরাসরি সংঘর্ষের পরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে ইরানে ৬১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৩ শিশু এবং ৪৯ জন নারী।
ইরান দাবি করছে, এই হামলা শুধু সামরিক বা পরমাণু স্থাপনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল এমনটা নয়, বরং ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোর প্রতীকী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে— যেমন এভিন কারাগার, যেখানে মূলত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়।
বিচার বিভাগ আরও জানায়, এভিন কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি অংশ এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ও নিহতদের পাশাপাশি বেঁচে থাকা বন্দিদের তেহরান প্রদেশের অন্যান্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া এই কারাগারে বহু বিদেশি নাগরিকও বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুইজন ফরাসি নাগরিক। তাদের নাম সেসিল কোলার ও জ্যাক প্যারিস। তারা তিন বছর ধরে সেখানে বন্দি আছেন।
হামলার পর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন: “তেহরানের এভিন কারাগারে হামলা আমাদের নাগরিক সেসিল কোলার এবং জ্যাক প্যারিসের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: