ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকে কি বদলাবে ভারত–আমেরিকা–রাশিয়া সমীকরণ?
প্রকাশিত:
৯ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০৭
আপডেট:
৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৩৭

আলাস্কায় আগামী ১৫ আগস্ট মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টই এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বের নজর এখন এই বৈঠকের দিকে। কেননা, এতে শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ নয়; বরং পরিবর্তন আসতে পারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতেও।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ আগস্ট) ট্রাম্প নিজেই ঘোষণা করেছেন, আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে বিশেষ এক চুক্তির প্রস্তাব দেবেন। যদিও ক্রেমলিন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের দিন বা স্থান নিশ্চিত করেনি।
উল্লেখ্য, এই ঘোষণার ঠিক আগে পুতিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন—যা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে।
ট্রাম্প যেখানে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী, সেখানেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির কারণে ভারতের উপরে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারত এই পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ বলে জানিয়ে স্পষ্ট করেছে—জাতীয় স্বার্থে তেল আমদানি শুধু ভারত নয়, বহু দেশই করছে, সুতরাং একমাত্র ভারতকে শাস্তি দেওয়া ‘অন্যায্য’।
প্রধানমন্ত্রী মোদি কড়া ভাষায় জানিয়েছেন—ভারত তার কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধচাষীদের স্বার্থে আপোস করবে না, প্রয়োজনে ‘চরম মূল্য দিতে হলেও’।
ফলে আগামী ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক ভারতের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে—তা সে যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে হোক বা শুল্ক নীতি এবং ভারত–আমেরিকা ও ভারত–রাশিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কের সমীকরণে।
২০২১ সালের জেনেভা সম্মেলনের পর প্রথমবারের মতো মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্ট মুখোমুখি বসতে চলেছেন। শেষবার ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক হয়েছিল ২০১৯ সালের জাপান জি২০ সম্মেলনে।
এর আগে তিনবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও সাফল্য আসেনি। এবার আলাস্কার বৈঠকই কি বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় রচনা করবে?—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আন্তর্জাতিক মহল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: